কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বকে বার্তা দিতে এবার 'মহাসমাবেশ' করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার টুইটে তিনি এ কথা ঘোষণা করেছেন। টুইটে ইমরান লিখেছেন, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফফরাবাদে বিরাট সমাবেশ করবেন তিনি। আন্তর্জাতিক বিশ্বকে বার্তা দিতে এবং ভারতের কাশ্মীরের মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি এই মিছিলের ডাক দিচ্ছেন বলে জানিয়ছেন।
মঙ্গলবারই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলর বৈঠকে পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছে দিল্লি। প্রতিবেশী দেশ বিকল্প কূটনীতি হিসেবে সীমান্ত পারে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে দিল্লি। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত যে একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে জাতিসংঘে সোচ্চার হয়েছিল পাকিস্তান। তার জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) বিজয় ঠাকুর বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উপকেন্দ্র যে দেশ তারা এই অভিযোগ করছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারে কাশ্মীরবাসীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে নয়াদিল্লি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বার বার এটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে মঙ্গলবার ‘সেমসাইড গোল’ করে বসেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। মানবাধিকার হরণের কথা বলতে গিয়ে জম্মুর পাশাপাশি কাশ্মীরকেও ‘ভারতের রাজ্য’ হিসেবে স্বীকার করে নিলেন তিনি! সাংবাদিকদের সামনে কথাটি মুখ ফসকে বলে ফেললেও পাকিস্তানের অস্বস্তি কিছুটা বাড়িয়েছেন কুরেশি। ভারত অবশ্য এই ‘ভুল’কে হাতিয়ার না করে জাতিসংঘের মঞ্চে বলেছে, ‘যারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের ভরকেন্দ্রে, তাদের মনগড়া অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ব ওয়াকিবহাল!’ সূত্র : এই সময়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক