শিরোনাম
১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:০৫

৩৭০ ধারা অপসারণের ফলে কাশ্মীরে দীর্ঘকাল শান্তি থাকবে : অমিত শাহ

অনলাইন ডেস্ক

৩৭০ ধারা অপসারণের ফলে কাশ্মীরে দীর্ঘকাল শান্তি থাকবে : অমিত শাহ

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের ফলে সেখানে দীর্ঘকাল ধরে শান্তি থাকবে। তিনি মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা প্রহরী বা এনএসজির ৩৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডোদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময় ওই মন্তব্য করেন।

অমিত শাহ বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি মোদি সরকারের জিরো টলারেন্সের নীতি রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ যেকোনও সভ্য দেশের জন্য অভিশাপ। ভারত দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদে ভুগছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।’

অমিত শাহ বলেন, পাকিস্তান অনুপ্রাণিত সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ভারত জর্জরিত হয়েছে, এ কারণেই মোদিজি কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ শেষ করতে ৩৭০ ধারা অপসারণ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণ করে দেশকে সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীরে চিরতরে সুরক্ষার জন্য বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা নিশ্চিত যে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পরে আমরা জম্মু-কাশ্মীরে সম্পূর্ণরূপে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’

অমিত শাহ বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে এনএসজি অনেকগুলো নতুন প্রযুক্তিগত প্রয়োগের সাথে সজ্জিত হয়েছে। এরফলে এনএসজির সক্ষমতাগুলোকে সহায়তা করেছে। কিন্তু আমরা জানি যে আমরা কেবল কমান্ডারদের সাহসিকতা, দেশপ্রেম এবং আবেগ দিয়েই জয় অর্জন করতে পারি।

এসময় এনএসজির মহানির্দেশক এসএস দেশওয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে, তবে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা করা হলে আমাদের দেশের সুরক্ষা বাহিনী এ জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। ড্রোন হামলার বিষয়ে দেশওয়াল বলেন, সুরক্ষা বাহিনী ভবিষ্যতের যেকোনও চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।

জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি প্রসঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ ড. নাজিবর রহমান আজ (মঙ্গলবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘৩৭০ ধারা অপসারণের ফলে লাভ কী হবে এবং কী ক্ষতি হবে এটা আমাদের ভালোভাবে অনুধাবন করার জন্য সময় লাগবে। এখন যেটা দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি তাতে কাশ্মীরের অবস্থা হচ্ছে থমথমে। এবং এই থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৩৭০ ধারা অপসারণের ফলে।

ড. নাজিবর রহমান বলেন, কাশ্মীরে জনগণের যে সাধারণ অধিকারগুলো ছিল সেখানে তা কেড়ে নেয়া হয়েছে। জনগণ এজন্য অবশ্যই ক্ষুব্ধ এবং অসন্তুষ্ট হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বা ভারতীয় মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে এটা প্রচারিত হয়ে আসছে। ফলে ওই দাবি (অমিত শাহের) গ্রহণযোগ্য হওয়ার সময় এখনও আসেনি। এবং এখনও পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে জনগণ এটাকে (৩৭০ ধারা অপসারণ)  গ্রহণ করলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা তাড়াতাড়ি চালু হতো কিন্তু তা হয়নি। সেহেতু বলা যায় জনগণ এটাকে গ্রহণ করেনি।’ সূত্র : পার্সটুডে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর