১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১০:৪৩

একবারও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি সু চি

অনলাইন ডেস্ক

একবারও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি সু চি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে আনার সমালোচনা করেছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। এমনকি তিনি একবারও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি।

সু চি বলেন, জাতিগত সংঘাত নয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীর আধিপত্যের কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে যেতে বাধ্য হয়েছে। 

বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই তুলে ধরেন তিনি। বেলা ৩টার ঠিক আগে আগে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন সু চি।

পরে বিচারকরা আসন গ্রহণ করলে প্রথমেই সাফাই বক্তব্য দেন মিয়ানমারের নেত্রী। সু চি বলেন, মিয়ানমারের রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা যদি গণহত্যা চালিয়ে থাকে, তাহলে মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী সামরিক বিচার ব্যবস্থায় তাদের বিচার করা হবে। আমরা মনে করি এ ঘটনাটি মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা উচিত। রাখাইনে অনেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, সম্পদ হারিয়েছেন এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা কোনোভাবেই ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় পড়ে না। রাখাইন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহল একচোখা অবস্থান নিয়েছে। এ অবস্থানের কারণে রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।১৯৮০ সাল থেকেই মিয়ানমার তার অভ্যন্তরীণ সম্প্রীতি বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থাকা রোহিঙ্গারা টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনে সু চি ও মিয়ানমারের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে ধিক্কার দিতে থাকেন। ক্যাম্পে মিছিল-সমাবেশের অনুমতি না থাকলেও রোহিঙ্গাদের মুখে মুখে স্লোগান ওঠে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর