সৌরভ গাঙ্গুলির মেয়ে সানার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে জোর শোরগোল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি বুধবার মাঠে নামেন পরিস্থিতি সামাল দিতে। টুইটারে তিনি লিখেন, ‘‘ওকে এসবে জড়াবেন না, রাজনীতি বোঝার বয়স ওর হয়নি।’’
এরপর থেকে পাল্টা প্রশ্ন করছেন নেটিজেনরা, সানার বয়েস ১৮। ভোটাধিকার রয়েছে। তবে তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা ওর থাকবে না কেন!
সানার পোস্ট নিয়ে বুধবার যখন নেটদুনিয়া তোলপাড়, সৌরভ টুইটারে দাবি করেন, পোস্টটি মিথ্যে। তার অনুরোধ ছিল, সানাকে এসব থেকে দূরে রাখার। টুইটটি শেয়ার করার পরেই আসতে থাকে পাল্টা মত।
এ বিষয়ে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেত্রী শীলা রশিদ টুইটারে লিখেন, ‘‘আপনার মেয়েকে নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত। ও সত্যি কথা বলতে শিখেছে। বয়স্ক মানুষের মতো একজন উঠতি মেয়েরও অধিকার রয়েছে নিজের মত প্রকাশ করার।’
সৌরভের টুইটের অনুরোধের সুরে আরেক জন লিখেন, ‘‘আপনি যেমন খেলোয়াড়দের নেতা হিসেবে অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, সানাকেও দিন না।’’
কেউ আবার লিখেন, ‘‘এবার হয়তো দেখব, সানা টুইটারে লিখেছেন-আমার বাবাকে নোংরা রাজনীতিতে জড়াবেন না। তিনি বিভাজনের রাজনীতির কচকচি বোঝার মতো পরিণত নয়।’’
ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের ঝড় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সৌরভ গাঙ্গুলির মেয়ে সানা। এরপর থেকে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন