সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কেন্দ্র করে শুক্রবার ভারতজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের।
বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের লখনউ এবং সম্বলে প্রচণ্ড সহিংসতার পর শুক্রবার দিনভর উত্তেজনা থাকে। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশ লখনউ, সম্বলপুর, বিজনোর, ফিরোজাবাদসহ একাধিক এলাকা। বিকেল পর্যন্ত এই রাজ্যটিতে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিজনোরে ২ জন, কানপুরে ১, সম্বলপুরে ১ জন এবং ফিরোজাবাদে ১ জন নিহত হয়েছে। সবমিলিয়ে নতুন করে সহিংসতায় সারা ভারতের মেঙ্গালুরু ও উত্তরপ্রদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮।
এদিন সকাল থেকেই কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির মসজিদ এলাকা। শুক্রবারের জুম্মার নামাজ আদায়ের পড়ে মসজিদ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। সেই বিক্ষোভে অংশ নেয় ভিম আর্মি সংগঠনের প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। এরপর দুপুরে দিল্লির জামা মসজিদ থেকে জন্তর মন্তর পর্যন্ত একটি বিশাল প্রতিবাদী মিছিল এগোতে থাকলে তাদের গতিপথ আটকায় পুলিশ। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ। মিছিলটি যন্তর-মন্তর এর সামনে পৌছানোর পরই পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী সেটিকে আটকায়। যদিও পুলিশের চোখকে কার্যত ফাঁকি দিয়ে পালাতে সক্ষম হয় আজাদ। এই ঘটনায় কয়েক শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। উত্তর-পূর্ব দিল্লির ১২টি পুলিশ স্টেশনে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ওই সকল এলাকায় এদিন পুলিশকে ফ্ল্যাগ মার্চ করতে দেখা যায়। অশান্তি ঠেকাতে দিল্লির এগারোটি মেট্রো স্টেশন শুক্রবার বন্ধ রাখা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন