অনুগত রিপাবলিকান সদস্যেরা ছিলেন। ছিল আইনি পরামর্শ দেয়ার দল আর হোয়াইট হাউসের সহযোগীরা। স্ত্রী মেলানিয়া তো ছিলেনই। হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে ঘনিষ্ঠজন পরিবৃত হয়ে ইমপিচমেন্ট থেকে মুক্তির আনন্দে চোখা চোখা শব্দে কাল জবাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হাতে ধরে দেখিয়েছেন একটি মার্কিন দৈনিকের শিরোনাম: ‘ট্রাম্প মুক্ত।’ ওই মার্কিন দৈনিকটি আবার একেবারেই প্রেসিডেন্টের নেকনজরে নেই! তবে ছাড় পেয়ে সে কাগজ হাতেই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘আগামীতে এটাই হলো।’’
সহযোগীবৃন্দ তখন উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্টকে। তাদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘এটা কোনও সংবাদ সম্মেলন নয়। এটা কোনও বক্তৃতাও নয়। এটা কিছুই নয়। এটা শুধু উৎসব!’’ তার পরে ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে ‘নরক যন্ত্রণা’ পেরিয়ে ‘নিষ্ঠুর’ ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে তিনি ‘জয়’ হাসিল করেছেন। তার দাবি, ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গটিই কংগ্রেসের কার্যবিবরণী থেকে বাদ যাক। কারণ, সেটি ছিল ‘ভুয়া’।
এবার পূর্ণ উদ্যমে প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচনের লড়াইয়ে নামতে চান ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি যোগ দেন ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে।’ ওয়াশিংটনে এই জমায়েতে আসেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। এবার এই প্রাতরাশের বিষয় ছিল: ‘শত্রুকে ভালোবাসুন।’ সেখানেও অন্য একটি দৈনিকের কপি নিয়ে ‘ঢাক পেটানোর’ মেজাজেই ছিলেন প্রেসিডেন্ট। বুঝিয়েছেন, কাউকে ক্ষমা করার প্রশ্ন নেই।
তার দাবি, ‘‘কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অসৎ লোকের জন্য তীব্র সঙ্কটে’’ পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এর পরে হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং নিজের দলের সেনেটর মিট রোমনিকে নিশানা করেন ট্রাম্প। পেলোসির সঙ্গে তাঁর আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক সবারই জানা। রোমনি সেনেটে ইমপিচমেন্ট শুনানির সময়ে বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় ট্রাম্প চটেছেন তার উপরেও।
ট্রাম্প বলেছেন, আমি সেই সব লোককে পছন্দ করি না, যারা বিশ্বাসের দোহাই দিয়ে নিজেদের কাজের পিছনে যুক্তি খাড়া করেন।
এর পরেই পেলোসিকে উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, সেই সব লোককেও পছন্দ করি না যারা মুখে বলে, আমি ওর জন্য প্রার্থনা করি’, কিন্তু আসলে সেটা চায় না। পেলোসি ট্রাম্পের জন্য প্রার্থনার কথা বলে ব্যঙ্গ করে থাকেন। সেই সূত্রেই ট্রাম্পের এই প্রতিক্রিয়া।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত