আবারও শিরোনামে এল ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ। তবে এবার কোনও তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের জন্য নয়। একটি নতুন প্রকল্প ঘোষণার খবর নিয়ে। যার নাম- ‘সূত্র’।
যার লক্ষ্য, অন্যান্য দেশের গরুর থেকে ভারতের গরু কেন আলাদা, কোথায় তার স্বাতন্ত্র্য, নিজস্বতা, তার অনুসন্ধান করা।
বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে কেন ক্ষুব্ধ বিজ্ঞানীদের একাংশ?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের এই নতুন প্রকল্পে দেশের বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশ হতাশ তো বটেই, অত্যন্ত অসন্তুষ্টও। তাদের ক্ষোভ, অসন্তোষের কারণ, এই প্রকল্পটি কোনও নিয়মিত বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে নয়। বরং তার ভিতটা মূলত বিশ্বাসের উপরেই তৈরি, যা বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিধারার পরিপন্থী |
বিজ্ঞানীদের ক্ষোভের অন্য কারণ, ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব দেশের একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। যাকে বিজ্ঞানী হিসেবে অনেকেই শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্যি, তিনিও এই প্রকল্পে জড়িত। একজন শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞানীর তত্ত্বাবধানে কীভাবে এই প্রকল্প গৃহীত হল, তা নিয়ে দেশের বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশ বিস্মিত।
প্রতিবাদে চিঠি, রয়েছে ভিন্ন সুরও
ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রলয়ের ‘সূত্র’ প্রকল্প চালুর পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই একটি চিঠি লেখা হয়েছে, যাতে স্বাক্ষর করেছেন বহু বিজ্ঞানী। ফলে, এই প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতজুড়ে আলোড়ন হয়েছে।
তবে ভিন্ন মতাবলম্বীরা যে একেবারেই নেই, তা কিন্তু নয়। আমি তাদের কথা বলছি না, যারা বিশ্বাস করেন, গরুর দুধ থেকে সোনা বের করে আনা যায়। অথবা যারা বিশ্বাস করেন, গোমূত্র থেকে অলৌকিকভাবে বিভিন্ন রোগের নিরাময় হয়। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/কালাম