শিরোনাম
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
- ডিএসসিসির ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকা বাজেটের অনুমোদন
- রিকশা চালিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জার্মান রাষ্ট্রদূতের
- কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার, হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- স্ত্রীসহ সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানের জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- দ্বিতীয় কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেন
- আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, জনমনে ক্ষোভ
- ধমক দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে চাইলে বিএনপি সহ্য করবে না : ফারুক
- বিমান বাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন
- ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৮
- বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে আহত মসজিদের ইমাম
- পঞ্চগড়ে লটারির মাধ্যমে ওএমএস ডিলার নিয়োগ
- গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৪২৯
- নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস পরিদর্শনে প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য
- শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তরের দাবি
- ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
নেপালের রাষ্ট্রব্যবস্থা কোমায়, এর মধ্যেও ক্ষমতার জন্য মরিয়া ওলি
অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন

নেপালের রাজনীতিতে অস্থিরতার সময় চলছে। আর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির প্রধানমন্ত্রীত্ব যাওয়ার পথে। যদিও ওলি সহজেই প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়ার জন্য প্রস্তুত না। তিনি নিজের দিক থেকে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় উভয় পদই বাঁচাতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আচ্যুত ওয়াগলে নামে দেশটির একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক তার বিশ্লেষণধর্মী এক লেখায় শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকারের আরও নড়বড়ে পরিস্থিতি তুলে ধরলেন।
তিনি নেপালের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য কাঠমান্ডু পোস্টে এক মতামত কলামে লিখেছেন, ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার নেপালকে পুরোপুরি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গণতন্ত্রকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক নেপালের রাষ্ট্রব্যবস্থা কোমায় পাঠিয়েছে। ওলি সরকারের দুর্বল নেতৃত্বে মহামারী করোনাভাইরাসের দুর্যোগ সকল সীমা অতিক্রম করেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে হানায় বিপর্যস্ত অবস্থায়ও অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে ওলির সরকার। নেপাল সরকার পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিতে ও কিট সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশজুড়ে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য কিট ও করোনা শনাক্তের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং করোনা নিয়ে সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলা- এই মহামারী সংক্রমণ ভয়াবহতায় রুপ নিয়েছে।
অধ্যাপক আচ্যুত আরও লিখেছেন, নেপালে এই রকম নড়বড়ে সরকার ব্যবস্থায় কেপি শর্মা ওলির নিজের দলও তাকে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছে না। এতে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় উভয় পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। যদিও ওলি সরকারের দাবি ভারত চক্রান্ত করছে আর এর সাথে গোপনে অশুভ আঁতাতে লিপ্ত বিরোধীরা। যদিও এরকম ভিত্তিহীন দাবি মানতে নারাজ এমন বহু দলীয় লোক এরই মধ্যে বেরিয়ে গেছে ওলির নেতৃত্ব না মেনে।
নেপালের এই বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মনে করেন, এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দলীয় ও রাষ্ট্রীয় উভয় পদই বাঁচাতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও তিনি এরই নিজের দলে মাইনোরিটি পজিশনে চলে গেছেন। ওলিকে সমর্থন দেওয়া দেশটির রাষ্টপ্রতি বিদ্যাদেবী ভণ্ডারী বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিরোধীরা তারও ইমপিচমেন্টের জন্য চেষ্টা করছেন।
এছাড়া ওলি সরকারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে বলে অধ্যাপক আচ্যুত তার লেখায় উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে নেপালে গণমাধ্যম স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি ও ব্যক্তি স্বাধীনতা সীমিত করা অন্যতম। এরকমই পরিস্থিতির জন্য নেপালের বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসও দায়ী। তারা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে, যার হুমকির মুখে পড়েছে নেপালের গণতন্ত্র।
সূত্র : জি৫।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
এই বিভাগের আরও খবর