শিরোনাম
- পার্শ্ববর্তী দেশে বসে ফ্যাসিবাদরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে
- তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
- শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
- হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
- পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
- গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
- মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
- নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
- ‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
- শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
- বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
- তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
- মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশ
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
নেপালের রাষ্ট্রব্যবস্থা কোমায়, এর মধ্যেও ক্ষমতার জন্য মরিয়া ওলি
অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
নেপালের রাজনীতিতে অস্থিরতার সময় চলছে। আর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির প্রধানমন্ত্রীত্ব যাওয়ার পথে। যদিও ওলি সহজেই প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়ার জন্য প্রস্তুত না। তিনি নিজের দিক থেকে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় উভয় পদই বাঁচাতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আচ্যুত ওয়াগলে নামে দেশটির একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক তার বিশ্লেষণধর্মী এক লেখায় শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকারের আরও নড়বড়ে পরিস্থিতি তুলে ধরলেন।
তিনি নেপালের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য কাঠমান্ডু পোস্টে এক মতামত কলামে লিখেছেন, ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার নেপালকে পুরোপুরি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গণতন্ত্রকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক নেপালের রাষ্ট্রব্যবস্থা কোমায় পাঠিয়েছে। ওলি সরকারের দুর্বল নেতৃত্বে মহামারী করোনাভাইরাসের দুর্যোগ সকল সীমা অতিক্রম করেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে হানায় বিপর্যস্ত অবস্থায়ও অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে ওলির সরকার। নেপাল সরকার পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিতে ও কিট সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশজুড়ে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য কিট ও করোনা শনাক্তের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং করোনা নিয়ে সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলা- এই মহামারী সংক্রমণ ভয়াবহতায় রুপ নিয়েছে।
অধ্যাপক আচ্যুত আরও লিখেছেন, নেপালে এই রকম নড়বড়ে সরকার ব্যবস্থায় কেপি শর্মা ওলির নিজের দলও তাকে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছে না। এতে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় উভয় পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। যদিও ওলি সরকারের দাবি ভারত চক্রান্ত করছে আর এর সাথে গোপনে অশুভ আঁতাতে লিপ্ত বিরোধীরা। যদিও এরকম ভিত্তিহীন দাবি মানতে নারাজ এমন বহু দলীয় লোক এরই মধ্যে বেরিয়ে গেছে ওলির নেতৃত্ব না মেনে।
নেপালের এই বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মনে করেন, এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দলীয় ও রাষ্ট্রীয় উভয় পদই বাঁচাতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও তিনি এরই নিজের দলে মাইনোরিটি পজিশনে চলে গেছেন। ওলিকে সমর্থন দেওয়া দেশটির রাষ্টপ্রতি বিদ্যাদেবী ভণ্ডারী বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিরোধীরা তারও ইমপিচমেন্টের জন্য চেষ্টা করছেন।
এছাড়া ওলি সরকারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে বলে অধ্যাপক আচ্যুত তার লেখায় উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে নেপালে গণমাধ্যম স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি ও ব্যক্তি স্বাধীনতা সীমিত করা অন্যতম। এরকমই পরিস্থিতির জন্য নেপালের বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসও দায়ী। তারা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে, যার হুমকির মুখে পড়েছে নেপালের গণতন্ত্র।
সূত্র : জি৫।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
এই বিভাগের আরও খবর