১৫ জুলাই, ২০২০ ১০:১৮
খবর বিবিসি বাংলা’র

যে কারণে সৌদির কাছে ব্রিটেনের অস্ত্র বিক্রি নিয়ে এত বিতর্ক

অনলাইন ডেস্ক

যে কারণে সৌদির কাছে ব্রিটেনের অস্ত্র বিক্রি নিয়ে এত বিতর্ক

ফাইল ছবি

ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে পাঁচ বছর ধরে। এই যুদ্ধে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বৃদ্ধির পটভূমিতে সৌদি আরবে ব্রিটেনের অস্ত্র রপ্তানি নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে। 

গত বছর এক রিপোর্টে ব্রিটেনকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহত্ অস্ত্র বিক্রেতা দেশ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। আর ব্রিটেন যত অস্ত্র রপ্তানি করে, তার ৪০ শতাংশই বিক্রি করে সৌদি আরবের কাছে। 

ব্রিটেনের এই অস্ত্র ইয়েমেনে সাধারণ মানুষের জীবন কীভাবে বিপন্ন করে তুলেছে, ব্রিটেনের বিরোধী রাজনীতিক ও অস্ত্র ব্যবসার বিরোধীরা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

গত গ্রীষ্মে মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি ইস্যুতে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের একটা বিজয় পেয়েছিল। তারা বিষয়টি আদালতে নিয়ে যায় এবং আদালতের নির্দেশে ব্রিটিশ সরকার সৌদি আরবে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।

আদালত সরকারের এই অস্ত্র বিক্রির নীতি আন্তর্জাতিক আইনের ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ কি না, তা বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেয়। প্রায় এক বছর পর সরকার তার মূল্যায়ন শেষে ঘোষণা করে, তারা অস্ত্র বিক্রি আবার শুরু করবে। 

ব্রিটেনের লেবার দলের এমিলি থর্নবেরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে বিরোধীদলীয় মুখপাত্র। তিনি মনে করেন, সরকার তার এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে ‘নৈতিক যুক্তি’ দিতে পারবে না এবং এর মাধ্যমে ব্রিটেনের ‘মানবাধিকারের পক্ষের ভাবমূর্তি’ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। 

গত বছর ব্রিটিশ সরকারকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিল যে অস্ত্র ব্যবসাবিরোধী সংগঠন, সেই ‘দ্যা ক্যাম্পেইন এগেনস্ট আমর্স ট্রেড’ বলছে, এটি ‘নৈতিকভাবে দেউলিয়া’ একটা সিদ্ধান্ত।

মধ্যপ্রাচ্যে বিমান হামলায় হতাহতের বিষয়টি নজরদারি করে এমন একটি ব্রিটিশভিত্তিক সংস্থা ‘এয়ারওয়ারস’ বলছে, সৌদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের সবুজ সংকেত দেওয়ার প্রক্রিয়া সন্দেহজনক এবং অনির্ভরযোগ্য। 

এই সংগঠনটির দাবি, মিত্র দেশ সৌদির কথা যদি ছেড়েও দেওয়া হয়, তার পরেও ব্রিটেন নিজেই যে সংখ্যায় ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়েছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। 

‘এয়ারওয়ারস’ বলেছে, ‘ব্রিটেন তদন্তের ক্ষেত্রে যেসব মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে, তাতে বেসামরিক মানুষের ক্ষতির বিষয়টা স্বীকার করে নেওয়ার পথ অসম্ভব করে দেওয়া হয়েছে।’


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর