১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১১:২১

বেলারুশে বিক্ষোভ দমনে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা,সর্বোচ্চ সতর্কতায় সেনাবাহিনী

অনলাইন ডেস্ক

বেলারুশে বিক্ষোভ দমনে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা,সর্বোচ্চ সতর্কতায় সেনাবাহিনী

নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোটচুরির অভিযোগে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে ইউরোপের দেশ বেলারুশে। আন্দোলনকারীদের দাবি প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ। বিক্ষোভের কাছে হার মানছেন না লুকাশেঙ্কোর। বরং টানা এই বিক্ষোভ দমনে আরও কঠোর হচ্ছেন তিনি।খবর আল-জাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পোল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধসহ সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রেখেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার আরও কঠোর অবস্থানে গিয়ে লুকাশেঙ্কো স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন- তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ঢেউ পশ্চিমা শক্তি দ্বারা পরিচালিত।

টানা ছয় সপ্তাহে ধরে বিক্ষোভের ফলে চাপে থাকা লুকাশেঙ্কো এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন।

৯ আগস্ট নির্বাচনে অভাবনীয় ব্যবধানে জিতে ফের ক্ষমতায় আসেন লুকাশেঙ্কো। তবে তার বিরুদ্ধে ভোটচুরি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে রাস্তায় নেমে আসে বেলারুশের মানুষ।

সোভিয়েত আমলের পর এমন বড় বিক্ষোভ দেখল দেশটি। লক্ষাধিক মানুষের একাধিক সমাবেশে কেঁপে উঠে মিনস্ক। নিরাপত্তা বাহিনী শক্তি প্রয়োগ ও নির্বিচারে গ্রেফতার চালালেও বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে বেলারুশবাসী।

এমন পরিস্থিতিতে রাস্তা থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন লুকাশেঙ্কো। বৃহস্পতিবার একটি উইমেন্স ফোরামে তার বক্তব্যে বিষয়টি জানা যায়।

বেলারুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাস্তা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু পশ্চিম সীমান্ত মূলত লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সেনাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।’

এছাড়া ইউক্রেন সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমার দেশ কোনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক এটা আমি চাই না। বেলারুশ, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া একটি সামরিক অভিযানের দিকে চলে যাক এটি আমি চাই না, যে আমাদের ইস্যুগুলোর সমাধান করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আমি আহ্বান করছি, আপনাদের অতি উৎসাহী রাজনীতিবিদদের থামান, যাতে কোনো যুদ্ধ লেগে না যায়।’

১৯৯২ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বেলারুশ। এর মাত্র দুই বছর পর দেশটির ক্ষমতায় আসেন লুকাশেঙ্কো। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ বছর ধরে দেশের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তিনি। তাকে বলা হয় ইউরোপের শেষ স্বৈরাচার।

ভোটচুরির অভিযোগে টানা বিক্ষোভে ভিত নড়ে উঠলেও ক্ষমতায় অটল লুকাশেঙ্কো। রাশিয়ার সরাসরি সমর্থনে বিক্ষোভ দমনেও সচেষ্ট তিনি।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর