ভারতের রাজস্থানের উদয়পুর জেলার খেরওয়ারা শহরে হিংসার বলি হলেন কমপক্ষে একজন। আহত হলেন পাঁচজন। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে ভাঙচুর হলো একশরও বেশি বাড়ি। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনার জেরে নামল আধাসামরিক বাহিনী। গত তিন দিন ধরে পাশের দুঙ্গারপুর জেলায় যানবাহন জ্বালিয়ে দোকানপাট ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন জনজাতি গোষ্ঠীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ১,১৬৭টি অসংরক্ষিত শূন্যপদে তফসিলি জাতিভুক্ত প্রার্থীদের সরকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবিতে দুঙ্গারপুর জেলায় ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ক্রমে সেই অবরোধ হিংসাত্মক রূপ নিলে তিন দিনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৬টি ট্রাক, ৫টি বাস, পুলিশের ৪টি গাড়ি, ৯টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ৯টি টেম্পো এবং একটি মোটরসাইকেল। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে এক হাজার রাউন্ড রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
শনিবার আরও ছয়টি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। তাদের বিরত করতে ফের রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। তার জেরে ছত্রভঙ্গ জনতা চড়াও হয় কাছের শ্রীনাথ কলোনিতে। সেখানে একশোর বেশি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে এর আগেই চারটি জেলায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাজস্থান সরকার এবং জারি হয় ১৪৪ ধারা। এ দিকে দুঙ্গারপুরের বিক্ষোভের আঁচ এসে পৌঁছায় সংলগ্ন উদয়পুর, বাঁসওয়াড়া ও প্রতাপগড় জেলায়। শুক্র থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত তার জেরে কাকরা ডুংরি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৮টি ট্রাক। বেশকিছু দোকানেও লুঠপাট চলে।
শনিবার রাতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বিক্ষোভকারীদের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং আইন মেনে চলার জন্য আবেদন জানান।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ