ভারতের উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ জেলায় বিতর্কিত ‘লাভ জিহাদ’ আইন চালু হওয়ার পর প্রথম আটক এক নারীর জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশটির সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে মুসকান জাহান নামে ওই নারীর গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
জানা যায়, বছরখানেক আগে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা রশিদ কাজের জন্য ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে গিয়েছিলেন। সেখানে উত্তরপ্রদেশের আরেক বাসিন্দা ও হিন্দু যুবতী পিংকির সাথে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারপর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের সময় পিংকি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসকান জাহান নাম ধারণ করে।
কয়েকমাস আগে তারা দেরাদুন থেকে মোরাদাবাদে ফিরে আসলে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ দেয়। তারপরই পুলিশ রশিদ ও মুসকানকে আটক করে। আটকের পর রশিদকে অজ্ঞাতস্থানে রাখা হলেও মুসকানকে রাখা হয় মোরাদাবাদের একটি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে। সেখানেই স্বাস্থকর্মীরা তাকে জোরপূর্বক ইনজেকশন পুশ করে গর্ভপাত করায় বলে অভিযোগ তোলে রশিদের পরিবার।
রশিদের মা জানান, শনিবার মুসকান ফোন করে তার রক্তক্ষরণের পর তার গর্ভপাত হয়েছে বলে জানায়। মুসকার তার ছেলে রশিদকে বিয়ে করার জন্যই তার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন রশিদের মা। তিনি বলেন, আমরা রশিদ ও মুসকানের সন্তানকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখেছিলাম। অথচ তারা আমাদের স্বপ্নকে হত্যা করলো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন