বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’ শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কলকাতায়। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কলকাতা প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সহযোগিতায় এই বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভাষাবিদ ড. পবিত্র সরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জী।
প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান জানান, ‘কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সহযোগিতায় কলকাতার ঐতিহাসিক প্রেস ক্লাবে এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিশেষ করে কলকাতার সেই ঐতিহাসিক প্রেস ক্লাব যা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহযোগী। সেখানে বসে বক্তব্য রাখা আমার কাছে গর্বের। বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যে জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তা ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এবং বিশাল সমাবেশ। যেখানে ১৪ লাখ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি সমর্থন করেছিলেন তা আন্তরিকভাবে স্মরণ করছি'।
তিনি আরও বলেন, 'একই সাথে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে গভীরভাবে স্মরণ করছি। ইন্দিরা গান্ধীর অবদান বাংলাদেশ চিরকাল মনে রাখবে। স্মরণ করছি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দুই বাংলা তথা বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে। এছাড়াও সেইসব শিল্পী-সাহিত্যিকদের স্মরণ করছি যারা আমাদের মাতৃভাষাকে সাহিত্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অটুট ছিল এবং চিরকাল অটুট থাকবে'।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া বলেন, ‘দুদেশের চলচ্চিত্র এখন যৌথভাবে কাজ করে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমরা রাজনৈতিকভাবে ভাগ হয়ে গেলেও আদতে আমরা বাঙালি, তাহলে আমরা কেন পানি ভাগ করে নিতে পারবো না? আপনাদের মাধ্যমে দিদিকে (মমতা ব্যনার্জিকে) এই বিষয়ে আবেদন করতে চাই। আমরা যদি পানি ভাগাভাগি করে নিতে পারি তাহলে আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ থাকবে না। এটা আমাদের সবার অধিকারের কথা বললাম।’
পরিচালক সৃজিত মুখার্জী বলেন, ‘কলকাতায় তৃতীয়বারের মতো যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে যেখানে দেখে মনেই হয় না আলাদা করে অন্য কোন দেশের চলচ্চিত্র দেখছি। আমরা ছোটবেলা থেকেই বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির মধ্যে বড় হয়েছি। আমি একাধিকার শুধু বাংলাদেশের জন্য চলচ্চিত্র বানাবার কথা ভাবলেও কোন অজানা কারনে তা হয়ে ওঠেনি। তবে এবার আমি হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে কাজ শুরু করার একটা পরিকল্পনা করেছি'।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এছাড়া সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের প্রথম সচিব প্রেস ডঃ মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির