৬ মার্চ, ২০২১ ১৪:৫৬

উইঘুর বন্দি নারীদের গণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার চীনের

অনলাইন ডেস্ক

উইঘুর বন্দি নারীদের গণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার চীনের

সংগৃহীত ছবি

উইঘুর বন্দি শিবিরে আটকে রাখা নির্যাতিত ও অসহায় নারীদের গণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করার চেষ্টা করছে চীন। ঘটনার সাক্ষীদের অপমান ও হুমকি দিচ্ছে বেইজিং। চীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে উইগুর গণহত্যার অভিযোগ দিন দিন আরও জোরালো হচ্ছে। 

সম্প্রতি বিবিসি একটি প্রতিবেদন জিনজিয়াংয়ে ‘পুনঃশিক্ষা শিবিরে’ নারীর মানবধিকার লঙ্ঘনের  বিষয় তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, 'উইঘুর বন্দি শিবিরে আটক নারীদের উপর যৌন নির্যাতন, গণধর্ষণ, আধুনিক দাসত্ব এবং জোর পূর্বক বন্ধ্যাকরণের শিকার করা হচ্ছে।' 

আমেরিকার পর এবার কানাডাও বলেছে, 'উইঘুদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে চীন। গত সপ্তাহে নিয়মিত দৈনিক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জিনজিয়াং-এ যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের ছবি তুলে ধরেন।'

উইঘুর নারীদের ক্যাম্পে আটক করার প্রক্রিয়া শুরুর আগে চীন সরকারের বক্তব্য ছিল, 'উইঘুর নারীরা শিশু তৈরির মেশিন।' চীনা কর্তৃপক্ষ কিছু নারীর নাম প্রকাশ করেছে এবং তাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যতথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। কারো কারো বিরুদ্ধে যৌন সংক্রামক রোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা চীনের একটি অপপ্রচার অভিযান কৌশল। 
 
এই প্রচারাভিযানে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ব্রিফিংয়ে জিনজিয়াংয়ে বাসিন্দাদের ছবি এবং পরিবারের সদস্যদের বিবৃতিসহ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে চীন। সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতি তাদের আচরণের উপর বৈশ্বিক চাপ মোকাবেলার জন্য একটি প্রচারণার অংশ হিসেবে তারা উইগুর নারীদের উর্বরতা, লিঙ্গ এবং এসটিডি সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিবরণ প্রকাশ করেছে।

এদিকে, চীন শিবিরে আটক মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বেইজিং প্রাথমিকভাবে শিবিরের অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও এখন দাবি করে যে সেগুলো বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  

এছাড়াও, বেইজিং জিনজিয়াং-এর অভ্যন্তরীণ কর্মসূচির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। সাংবাদিক এবং কূটনীতিকদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত সরকারি সফরের বাইরে শিবিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। 

সূত্র: এএনআই

 


বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর