নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে আলোচনার জন্য আহ্বান জানান। আলোচনায় হংকংয়ের জনগণের বর্তমান পরিস্থিতি ও জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইগুরদের প্রতি চীনের আচরণের জন্য গভীর উদ্বেগ এবং সমালোচনা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, 'বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক করাই আসল উদ্দেশ্য। বিষয়টি উন্মোচিত হোক, যাতে করে আমরা বুঝতে পারি যে এটা কীভাবে হলো। তাহলে এ ধরনের মহামারি ঠেকাতে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করতে পারব।'
এছাড়াও মহামারির উৎপত্তি সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত নিয়ে উভয় নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, তারা আশা করেন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত অব্যাহত থাকবে। এক যৌথ ঘোষণায় দুই নেতা বেইজিংকে মানবাধিকার রক্ষা এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের জিনজিয়াংয়ে অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, গত বছর সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পর চীন হংকংয়ের ওপর কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপ করে। চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে প্রত্যাহার করা প্রত্যর্পন বিলের কারণে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এরপর থেকে চীনপন্থী হংকং প্রশাসন গণতন্ত্রপন্থী আইন প্রণেতা, সক্রিয় কর্মী এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
হংকং ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস এপ্রিলে জানায়, সরকার বিরোধী বিক্ষোভের ঘটনায় ১০,২০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২,৫০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ সমাবেশ, অগ্নিসংযোগ, দাঙ্গা, আক্রমণাত্মক অস্ত্র রাখা, একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা এবং চীনের জাতীয় পতাকা অপবিত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ৬০০ জনেরও বেশি মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জিনজিয়াংয়ে চীনের বিরুদ্ধে উইগুর মুসলিম এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। উইগুর মুসলমানদের গণবন্দী শিবিরে পাঠিয়ে, তাদের ধর্মীয় কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের জোর পূর্বক পুনরায় শিক্ষা বা শিক্ষা দানের জন্য পাঠিয়ে বিশ্বব্যাপী চীন সমালোচনার মুখে পড়েছে।
তবে বেইজিং বরাবরই বলে আসছে, তারা জিনজিয়াংয়ে উইগুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত নয়। সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির