ছিঁড়ে গেছে লোহিত সাগরের নীচে বসানো বেশ কয়েকটি ফাইবার অপটিক কেবল! এমনটাই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তার জেরে নাকি এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কিছু অংশে বিঘ্নিত হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রভাব পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানেও। ভুগছেন সাধারণ গ্রাহকেরা।
অনেকের অনুমান, এর নেপথ্যে থাকতে পারে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। হুথির লোহিত সাগরে আক্রমণ অভিযান নিয়ে এমনিতেই আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে হুথিরা অপটিক ফাইবার কেটে দিয়ে গাজায় হামাসবিরোধী যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও অতীতে কেবল কেটে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি। এ বারেও হামলার কথা স্বীকার করেনি তারা।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার সকালে এই ঘটনার কথা জানা যায়। লোহিত সাগরের নীচে থাকা ওই ফাইবার অপটিক তারগুলি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট করিডোর। ওই অঞ্চল দিয়ে কয়েক ডজন কেব্ল এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে বিস্তৃত। ওই কেব্লগুলিতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে বহু মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও। তাই একটি তারে কোনও গোলযোগ দেখা দিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ভিন্ন অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়, যাতে গোটা ব্যবস্থা ধসে না পড়ে। এতে সম্পূর্ণ সংযোগ বিঘ্নিত না হলেও তুলনামূলক ভাবে ধীরগতির নেটওয়ার্ক সংযোগ পান ব্যবহারকারীরা।
তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, লোহিত সাগরে অপটিক ফাইবার কেব্ল ছিঁড়ে যাওয়ার বিষয়টি সত্য হলে তার প্রভাব পড়বে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট এবং ফোন পরিষেবায়। এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন অংশে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে। ধীরগতির ইন্টারনেট, কল ড্রপ এবং ভিডিয়ো কলিং-এও নানা সমস্যার মুখোমুখি হবেন ব্যবহারকারীরা। ইন্টারনেট সংক্রান্ত তথ্য প্রদানকারী সংস্থা নেটব্লক্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এই গোলযোগের পর থেকে ভারত-সহ এশিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট পরিষেবায় বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য ভোগান্তির কথা জানিয়ে গ্রাহকদের আগাম সতর্ক করেছে মাইক্রোসফ্টও।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল