সুইডিশ পার্লামেন্টে সরাসরি ভোটে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে স্টেফান লফভেন পুনরায় সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২১ জুন সুইডিশ পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেন ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে সরাসরি ভোটাভুটির মাধ্যমে অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয়।
সেদিন পার্লামেন্টের মোট ৩৪৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের প্রধান এবং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেনের বিপক্ষে ভোট দেয় ১৮১ জন, পক্ষে ভোট দেয় ১০৯ জন, ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ৫১ জন এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৮ জন। গণতান্ত্রিক সুইডেনের ইতিহাসে কোন সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে অনাস্থা জ্ঞাপনের ঘটনা সেটাই ছিল প্রথম।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের ১৩৪ দিন পর অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিয়ে লেবার ও গ্রীন পার্টি মাইনোরিটি সরকার গঠন করতে সমর্থ হয়। শুরু থেকেই বাড়ি ভাড়ায় মালিক সমিতিকে একক অগ্রাধিকার দেয়া জানুয়ারি চুক্তি নামে পরিচিত ৪৪ নম্বর চুক্তিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল লেফট পার্টি। দাবি না মানায় গত ২১ শে জুন সংসদে লেফট পার্টি সরকারের বিপক্ষে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় ২৮ জুন ক্ষমত ছাড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেনকে।
স্পিকার, বর্জুয়া জোট নেতা মডারেট পার্টির প্রধান উলফ ক্রিস্টিয়ানসনকে ক্ষমতা গ্রহণের আহ্বান জানালেও তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় আবারও ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তাব করা হয় স্টেফান লফভেনকে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সুইডেনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্টেফেন লফভেন পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফিরে আসায় সুইডেনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কিছু দিনের জন্য হলেও বন্ধ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন