সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে লিটন আহম্মদ (২০) নামের এক তরুণকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লিটন আহম্মদ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ভল্লবপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এজাহারকারী ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তার ছোট ছেলে মিনহাজ এসে জানায়, তার বোন (১৮) গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রান্নাঘরে ঝুলে আছে। তৎক্ষণাৎ বাড়িতে গিয়ে মেয়ের শরীরে ধর্ষণের আলামত দেখতে পেয়ে জানতে পারেন আসামি লিটন অনুমান সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যবর্তী যেকোনো সময়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে রান্নাঘরের বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে গেছে৷
এদিকে, খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার ফোর্সসহ এসে ওই তরুণীর সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরের দিন লিটনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন তরুণীর বাবা।
এদিকে, তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৯(২) ধারায় অপরাধ আমলে নেন আদালত। ৮ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে ওই ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গঠিত অভিযোগ উপস্থিত আসামিকে পাঠ করে শোনানো ও ব্যাখ্যা করে বোঝানো হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিচার প্রার্থনা করেন।
সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শামছুর রহমান জানান, অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে। পরবর্তীতে সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে দোষী সাব্যস্তক্রমে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি