আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে তালেবান এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের চেষ্টা করছে। সংগঠনটি এবার দেশ পরিচালনা করতে চায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে। ইতোমধ্যে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। তবে ভিন্ন কথা বললো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এখনও তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি ইইউ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট উর্সুলা ভন দার লেয়েন। শনিবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে তিনি এমনটাই জানান। খবর এপির।
ইইউ এখনও তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি জানিয়ে প্রেসিডেন্ট উর্সুলা বলেন, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ৫৭ মিলিয়ন ইউরো থেকে বাড়িয়ে ৬৭ মিলিয়ন ইউরো করার প্রস্তাব দেবে ইইউ। দেশটি যেন মানবিক অধিকার, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যথার্থ আচরণ এবং নারী এবং তরুণীদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানায়।
এদিকে, চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান এখনও দেশটিতে দূতাবাস চালু রেখেছে। ভবিষ্যতেও দেশ তিনটি আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিতে চীন আগ্রহী। তালেবান বারবার বলেছে তারা চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং উন্নয়নে তারা চীনের অংশগ্রহণ চায়। আমরা তাদের ইচ্ছা ও পছন্দকে স্বাগত জানাই।
অন্যদিকে রুশ দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য আফগানিস্তানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরমভ আজ মঙ্গলবার তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রুশ সরকার বলছে, তারা তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চায়, কিন্তু তাদের এখনই আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দিবে না।
আর পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আফগানরা দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গেছে। তাদের স্বাগত জানায়। পাশাপাশি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যর্থতার ফলে সেদেশে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে ব্যবহার করতে হবে। এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার রক্ষায় পাকিস্তানের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে তুরস্ক।
বিডি-প্রতিনিধি/শফিক