নতুন করে আর ঠান্ডা যুদ্ধ চায় না যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর বাইডেন একথা যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েই বলেছেন, তা আর বলে দিতে হয় না।
নিউ ইয়র্কে বসে রাষ্ট্রনেতাদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেই সব দেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, যারা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় এগিয়ে এসে শান্তিপূর্ণ সমাধান করবে। তাদের সঙ্গে অন্য বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও তা গুরুত্ব দেওয়া হবে না। চীনের বিষয়েই যে বাইডেন এই উক্তি করেছেন, তা বলা যায় এক প্রকার স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান ইস্যুতে চীনের একেবারে উল্টোদিকে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০১ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী আলকায়দাকে উপড়ে ফেলতে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে উচ্ছেদ করেছিল আমেরিকা। আর চীন উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে ফের ক্ষমতায় আসা সেই তালেবান সরকারকেই সমর্থন করেছে।
আরও মনে রাখতে হবে, আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর পরেই ক্ষমতায় এসেছে তালেবান। এখন তালেবান সরকারকে কেন্দ্র করে দুই দেশের যে একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। তাই বাইডেন আগেই বলে রেখেছেন, আমরা একটি নতুন ঠাণ্ডা লড়াই বা আড়াআড়িভাবে বিভক্ত একটি বিশ্ব চাই না।
চীন এসব নিয়ে কতটা মাথা ঘামাবে, তা অবশ্য এখন দেখার বিষয়। কারণ তালেবান ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর থেকেই প্রকাশ্যে তাদের দিকে হাত বাড়িয়েছে চীন। তার আগেও বেজিংয়ে গিয়ে বৈঠক করে এসেছেন তালেবান নেতাড়া। তাই আমেরিকা না চাইলেও ঠান্ডা লড়াই যে চলবেই তা আর না বললেও চলে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত