ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে কূটনীতিই হচ্ছে সেরা উপায়। এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রবিবার রাতে ইতালির রাজধানী রোমে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর একদিন আগে শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকের ফলাফল তুলে ধরতে গিয়ে বাইডেন জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বলেন, তিন ইউরোপীয় দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে যে, ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসান কূটনৈতিক পন্থায় হতে হবে এবং এটিই সেরা উপায়।
জো বাইডেন আরও বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে যে ভুল করেছিলেন তার মাশুল আমাদেরকে আজও দিতে হচ্ছে।
ট্রাম্পের ইরানবিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি ব্যর্থ হওয়ার পর জো বাইডেন প্রশাসন ইরানের পরমাণু সমঝোতা প্রত্যাবর্তনের আগ্রহ প্রকাশ করে। আমেরিকাকে এই সমঝোতায় ফিরিয়ে আনা এবং এটিকে আবার কার্যকর করার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ছয় দফা আলোচনা হয়েছে।
ভিয়েনা সংলাপের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ছয় দফা আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও এখনও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন বাইডেন প্রশাসন তার সবগুলো প্রত্যাহার করতে এখনও সম্মত হয়নি। এ বিষয়টিকে ভিয়েনা সংলাপে অগ্রগতি না হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ বলা হচ্ছে। এছাড়া, জো বাইডেন সরকার একথাও বলছে যে, পরবর্তী সরকার আবার এসে যে আমেরিকাকে এই সমঝোতা থেকে বের করে নেবে না সে ধরনের কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম