৭০ বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। রান্নার জন্য ক্যারোসিন কিনতে না পেরে নারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। জ্বালানি কিনতে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে দুই বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পর্যটক কোচকে আটকে রেখে বিক্ষোভ হয়েছে। টানা বিক্ষোভে দেশটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কার আগে কে জ্বালানি কিনবে সেই প্রতিযোগিতায় নেমে অনেকে রাত থেকে এসে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। প্রতিদিনই সে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। অনেকে তেল মজুদ করে রাখছেন। এতে অনেকে প্রয়োজনীয় তেল কিনতে পারছেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবার সেনা মোতায়েন করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। সরকারের পরিচালিত সিলন পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পাম্প স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছে সেনারা।
ঋণের জালে আটকা পড়ে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানি, ওষুধ আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। এতে দেশের ভিতরে প্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছে। জনজীবনের প্রতিটি স্তরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সরকার রেশনিং ব্যবস্থা চালু করলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
শ্রীলঙ্কার আয়ের বড় উৎস পর্যটন। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সে আয় কমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি এমনিতেই নাজুক হয়ে পড়েছিল। এরমধ্যে রিজার্ভ সঙ্কটে পড়ে তার আরও অবণতি হয়েছে। সমস্যার সমাধান বের করতে সব রাজনৈতিক দলের বৈঠক ডেকেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। কিন্তু বিরোধী দলগুলো তাতে যোগ না দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানা গেছে।
সূত্র : এএফপি
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা