ভারতের হায়দরাবাদে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে ১১ শ্রমিক। কাঠ-প্লাস্টিক-লোহার টুকরো মজুদ রাখা (স্ক্রাপ) গুদামে ওই বিধ্বংসী আগুনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকেই বিহারের আজমপুরা গ্রামে বাসিন্দা। গত প্রায় দেড় বছর ধরে তারা প্রত্যেকেই হায়দরাবাদ শহরের এই গুদামটিতে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। তবে কী কারণে এই আগুন লেগেছে তার প্রকৃত কারণ এখনও নিশ্চিত করা না গেলেও প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড।
বুধবার ভোর রাত আনুমানিক ৪টা নাগাদ তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদ শহরের ভোইগুডা এলাকায় ওই গুদামটিতে আগুন লাগে বলে জানা গেছে। গুদামটিতে কাঠ, প্লাস্টিকসহ প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। আর সেসময় ওই গুদামের ভিতরই ঘুমিয়েছিলেন ১২ শ্রমিক। ঘুমের মধ্যেই আগুনের তীব্রতা ও ধোঁয়ায় মারা যান ১১ শ্রমিক। একজন শ্রমিক জানলা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলেও তার অবস্থা সঙ্কটজনক। এই মুহূর্তে সেকেন্দ্রাবাদের গান্ধী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
আগুন লাগার খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি গাড়ি সেখানে এসে পৌঁছায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
হায়দরাবাদের ডিস্ট্রক্ট কালেক্টর এল. কারমন জানান, ‘বুধবার ভোর ৪টা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি গাড়ি সেখানে পৌঁছায়। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
অন্যদিকে ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (সেন্ট্রাল) জানান, ‘১১টি দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেগুলোকেও সেকেন্দ্রাবাদের গান্ধী হাসাতালে পাঠানো হয়েছে।’ নিহতদের পরিচয় জানতে লাশগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
এই ঘটনায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাও শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপির আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছেন।
শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। টুইটে এই ঘটনাকে ‘বেদনাদায়ক’ আখ্যা দিয়ে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণাও করেছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা