মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইট মারা গেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে উদ্ধৃত করে বিবিসি, সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। ক্যান্সারে ভুগে ৮৪ বছর বয়সে মেডেলিন অলব্রাইটের মৃত্যু হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।
বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন চেক বংশোদ্ভূত মেডেলিন অলব্রাইট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় ‘গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মেডেলিন অলব্রাইট কসভোয় জাতিগত দমন অভিযান বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
১৯৩৭ সালে তৎকালীন চেকস্লোভাকিয়ার প্রাগে জন্ম নেওয়া অলব্রাইটের বাবা ছিলেন একজন কূটনীতিক। ১৯৩৯ সালে নাৎসিরা চেকস্লোভাকিয়া দখলের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন।
মেডেলিন অলব্রাইট ১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ১৯৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান তিনি।
ডেমক্রেট নেতা জিমি কার্টার যখন প্রেসিডেন্ট তখনই হোয়াইট হাউজে কাজ শুরু করেন মেডেলিন অলব্রাইট। পরে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৯৩ সালে বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত করা হয় মেডেলিন অলব্রাইটকে। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয় তাকে।
বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১২ সালে মেডেলিনকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত করা হয়।
সিএনএন জানিয়েছে, মেডেলিন অলব্রাইটের মৃত্যুর বিষয়টি ইমেইল করে নিশ্চিত করেছে তারই প্রতিষ্ঠিত বৈশ্বিক কৌশল বিষয়ক প্রতিষ্ঠান অলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপ।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, মেডেলিন অলব্রাইট ক্যান্সারে ভুগছিলেন। মুত্যুকালে তার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব তার পাশেই উপস্থিত ছিলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা একজন মমতাময়ী মা, একজন প্রিয় নানি/দাদি, বোন ও একজন ভালো বন্ধু হারালাম। সেই সঙ্গে হারালাম গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের একজন নিরলস সেবককে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ