ইমরান খানের সাথে গেল সাড়ে তিন বছর খুব একটা ভালো যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন আধিপত্যের বেড়া ডিঙিয়ে ইমরান কথিত স্বনির্ভর হওয়ার নেশায় ছুটেছেন চীন আর রাশিয়ার কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে খারাপ সম্পর্কটাকে ইমরান আরও খারাপ করে দিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর আগে। ইমরানের অভিযোগ ছিল তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পুরো কলকাঠিই নেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইমরানের গদি শাহবাজ শরীফের কাছে যাওয়ার পর বদলেছে প্রেক্ষাপট।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনও তাই জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের সাথে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়তে চায়। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সাথে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক চাই। আমাদের প্রত্যাশা সেটা সম্ভব হবে।’
কিরবি বলেন, ‘আমরা শিকার করি পাকিস্তান ওই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছে। আমরা জানি পাকিস্তান ও পাকিস্তানের মানুষ তাদের দেশের ভেতরেই সন্ত্রাসের শিকার।’
কিরবির দাবি বিশ্ব শান্তির অংশ হিসেবেই সম্মানের সাথে পাকিস্তানের সঙ্গে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ইস্যুতে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ইমরানের পতন আর শাহবাজের উত্থানে যুক্তরাষ্ট্রকে যে নিয়ামক হিসেবে দেখা হয়। সেই প্রশ্নের জবাব কৌশলে এড়িয়ে গেছেন কিরবি। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘বুঝতেই পারছেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আমরা মন্তব্য করব না।’
সূত্র: ডন
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল