১ জুলাই, ২০২২ ০৮:৪০

আলোচিত সেই ‘নাপাম গার্লে’র ত্বকের চিকিৎসা শেষ, ৫০ বছর পর স্বাভাবিক জীবনে

অনলাইন ডেস্ক

আলোচিত সেই ‘নাপাম গার্লে’র ত্বকের চিকিৎসা শেষ, ৫০ বছর পর স্বাভাবিক জীবনে

কিম ফুক ফান টি

ঘটনা ১৯৭২ সালের। ভিয়েতনাম যুদ্ধের একটি ছবি কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর ফের আলোচনায় সেই ছবি ও ছবির মেয়েটি। ত্বকের চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ ৫০ বছর স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন তিনি।

তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক পুরো ঘটনা

৫০ বছর আগে তার সেই ছবি দেখে চমকে উঠেছিল বিশ্ব। পিছনে আমেরিকার যুদ্ধ বিমান থেকে নাগাড়ে ফেলা হচ্ছে ‘নাপাম বোমা’। আর সামনে প্রাণের ভয়ে ছুটছে এক কিশোরী। চিত্র সাংবাদিক নিক উটের তোলা সেই ছবি পরবর্তীতে ‘নাপাম গার্ল’ নামে খ্যাত হয়। আর ছবির সেই কিশোরী, কিম ফুক ফান টি বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন। ৫০ বছর পর কিম ফুক ফিরছেন স্বাভাবিক জীবনে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, যে দেশের হামলায় তার এই অবস্থা হয়েছিল, সেই আমেরিকাতেই হল তার ত্বকের চিকিৎসা।

১৯৭২ সালের জুনে ভিয়েতনামে কিম ফুকের গ্রামে হামলা করে মার্কিন যুদ্ধবিমান। মুহুর্মুহু নাপাম বোমা ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছিল ছোট্ট গ্রামটিকে। বোমা থেকে বাঁচতে আর পাঁচজনের মতোই দৌড়াচ্ছিল ৯ বছরের কিম ফুক। কাঁদতে কাঁদতে সেই ছবিটি লেন্সবন্দি করেছিলেন নিক। সেই ছবিই তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা বিশ্বে। পরবর্তীতে সেই ছবির জন্যই পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন নিক। আর কিম ফুকের সারা শরীরে বোমার ক্ষত!

১৯৯২ সালে স্বামীর সঙ্গে ভিয়েতনাম ছাড়েন কিম ফুক। আশ্রয় নেন কানাডায়। সেই সময়ই আমেরিকার মিয়ামিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় ত্বক বিশেষজ্ঞ জিল জোয়াবেলের। কিম ফুকের কাছে গোটা ঘটনা শোনার পর লজ্জিত জিল পুরো চিকিৎসাটিই বিনামূল্যে করার কথা জানান।

শুরু হয় চিকিৎসা। অতঃপর, ক্ষতবিক্ষত ত্বক সারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা। সুস্থ হয়ে কিম ফুক বলছেন, “৫০ বছর পর এখন আমি মুক্ত। আমাকে আর যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াতে হবে না। আর নাপাম গার্ল নামে আমাকে কেউ ডাকবে না। আমি একজন বন্ধু, একজন বোন, যে যুদ্ধের ক্ষত মুছে বিশ্বশান্তির আহ্বান জানাচ্ছে।” সূত্র: স্কাই নিউজ, ডেইলি মেইলনিউ ইয়র্ক পোস্ট

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর