চীনের একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত আপত্তি করার পর ওই জাহাজের আগমন পিছিয়ে গেছে।
জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, চীনের গবেষণা ও সমীক্ষা করার জাহাজ ইউয়ান ওয়াংকে শ্রীলঙ্কা তাদের বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দিয়েছিল। আগামী বৃহস্পতিবারে পর (১১ অগাস্ট) জাহাজটির শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভেড়ার কথা। কিন্তু চীনের এই জাহাজ নিয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে প্রবল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
নয়াদিল্লির আশঙ্কা, চীন হামবানটোটা বন্দরটিকে সামরিক ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করতে চায়। বন্দরটি ভারতের খুব কাছে এবং এশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার প্রধান রাস্তার মধ্যেই পড়ে।চীনের কাছে বিপুল পরিমাণ ঋণ রয়েছে শ্রীলঙ্কার। তারা সেখানে বিমানবন্দর, রাস্তা, রেললাইন বানাচ্ছে। সম্প্রতি ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারত লঙ্কাকে চারশ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের তীব্র আপত্তিতেই বিক্রমসিংহে সরকার সিদ্ধান্ত বদলেছে এবং চীনের জাহাজের আগমন পিছিয়ে দিয়েছে।
যদিও শ্রীলঙ্কার সরকার গণমাধ্যমের রিপোর্ট অস্বীকার করে বলেছে, তারা চাপের মুখে কোনো কাজ করেনি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, চীনের এই জাহাজটিতে সর্বশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে উপগ্রহের সিগন্যাল, রকেট ও ব্যালেস্টিক মিসাইল লঞ্চ ট্র্যাক করা যায়।
ভারতের আশঙ্কা, চীনের জাহাজ হামবানটোটায় থাকলে তা ভারতের সুরক্ষা ক্ষেত্রে বিপদের কারণ হবে।
তবে বিষয়টি নিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। গত সপ্তাহে চীন জানিয়েছিল, জাহাজটি রিফুয়েলিংয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার বন্দরে যাবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল