আবারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
শনিবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একটি টুইট করে সোনিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন মাসে দ্বিতীবার করোনা আক্রান্ত হলেন সোনিয়া।
জয়রাম রমেশ টুইট বার্তায় লেখেন, “আজ কংগ্রেস সভাপতি শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীর কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি সরকারের জারি করা প্রটোকল অনুসরণ করে আইসোলেশনে থাকবেন।”
প্রসঙ্গত, গত ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। তবে তিনি কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। ১২ জুন সোনিয়াকে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। কোভিডের জেরে ফাঙ্গাল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন সোনিয়া।
জানা যায়, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের কারণে তার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। অবশ্য হাসপাতালে ভর্তি হতেই চিকিৎসায় সাড়া দেন সোনিয়া। পরে ২০ জুন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।
এরপর সোনিয়াকে বেশ কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। পরে দিল্লিতে ইয়ং ইন্ডিয়ানের কার্যালয় সিল করে দেয় ইডি। এর আগে সোনিয়াকে প্রায় ১১ ঘণ্টা এবং রাহুলকে ৫০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে পথ চলা শুরু ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর। স্বাধীনতার পর পত্রিকাটি মূলত কংগ্রেসের মুখপত্রে পরিণত হয়। পত্রিকাটির প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড। এর মালিকানা ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। ২০০৮ সালে আর্থিক ক্ষতির কারণে ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী। এরপর ২০১১ সালে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানি গঠন করেন তিনি। যার ৭৬ শতাংশ অংশীদারি কংগ্রেস সভানেত্রী এবং তার পুত্র রাহুলের। এর সূত্র ধরেই ২০১৩ সালে অর্থ তছরুপের অভিযোগ আনেন বিজেপি সংসদ সদস্য সুব্রামানিয়াম স্বামী। পরে ২০১৫ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া একটি অলাভজনক কোম্পানি হওয়ায় এর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে ইডি। বর্তমানে এই মামলায় আগাম জামিন নিয়ে মুক্ত আছেন রাহুল ও সোনিয়া। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিডি প্রতিদিন/কালাম