রাশিয়া এবং চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র লেজার অস্ত্র তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন চিফ অফ নেভাল অপারেশন অ্যাডমিরাল মিশেল জিলডে।
গত শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই দিন ওয়াশিংটনে রাইট-উইং গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে অ্যাডমিরাল জিলডে এসব কথা জানান।
মিশেল জিলডে জানান, এই ধরনের লেজার অস্ত্র তৈরিতে উচ্চ মাত্রার এনার্জি লেজার অথবা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হবে যা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি ধ্বংস করতে সক্ষম।
মার্কিন নৌবাহিনীর সামনে এখন এই লেজার অস্ত্র তৈরি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। এটিকে কোনোমতেই আমরা উপেক্ষা করছি না।’
তবে এই অস্ত্র উন্নয়নের পথে কতটা এগোতে পেরেছে আমেরিকা, সে ব্যাপারে কোন কিছু বলেননি মার্কিন চিফ অফ নেভাল অপারেশন অ্যাডমিরাল।
রাশিয়া এবং চীন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দিক দিয়ে যে উন্নতি অর্জন করেছে তা স্বীকার করে অ্যাডমিরাল জিলডে বলেন, দেশ দুটির হাইপারসনিক অস্ত্র সত্যিকার অর্থেই উদ্বেগের কারণ। চীন এবং রাশিয়া দুই দেশ এই অস্ত্র তৈরি করছে এবং তারা অল্প সময়ের মধ্যেই এই সক্ষমতা অর্জন করবে।
গত মাসে মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ মানুষবিহীন বেলুন তৈরির ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে। এই বেলুন বায়ুমন্ডলের ১৮,৩০০ মিটার থেকে ২৭,৪০০ মিটার উচ্চতায় ওড়ানো যায়। শত্রুর হাইপারসনিক অস্ত্রের হুমকি মোকাবেলায় আমেরিকা এই ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন