মারিওপোলের আঝভস্তাল স্টিলওয়ার্ক কারখানায় আটকে পড়া আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের অমানবিক পরিবেশে রেখেছিল রুশ সেনারা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় সেনা লেফটেন্যান্ট ইলিয়া সামোইলেঙ্কো। তিনিও ওই স্টিল কারখানায় আটকে পড়েছিলেন।
তিনি রাশিয়ার সেই বন্দিশালায় ১২০ দিন ধরে বন্দি ছিলেন এবং শঙ্কা করছিলেন যে কখনোই হয়তো তার বাড়ি ফেরা হবে না।
ইলিয়া জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনারা আটকের পর তার কৃত্রিম হাত খুলে নেয়। গেল মাসে তারা বন্দি বিনিময়ের আওতায় রাশিয়ার কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
২৮ বছর বয়সী ইলিয়া ওই খানে বিস্ফোরণে তার ডান চোখ ও বাম বাহু হারান। বন্দিদশা থেকে ফিরে তিনি বলেন, ‘আমার জন্য যারা অপেক্ষা করছিলেন, তাদের দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল। তাদের চোখে আনন্দ অশ্রু ঝরছিল, মুখে ছিল হাসি।’
যদিও রাশিয়া আজভস্তালে আটকে পড়া ইউক্রেনীয় সেনাদের নির্যাতন করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইলিয়াও বলেন, ‘আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।’ ‘তবে অন্য জায়গায় মানুষদের নির্যাতনের খবর তিনি শুনেছেন।’
তিনি জানিয়েছেন, অন্য জায়গায় যাদের পাঠানো হয়েছিল তাদের চেহারার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তিনি আরও জানিয়েছেন, গেল মাসে মুক্তি পাওয়া অনেকেই তাকে বলেছে যে তাদের ঠিকমতো পানি দেওয়া হয়নি এবং সেখানে যথেষ্ট পুষ্টিহীনতাও ছিল।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল