জার্মানির সাবেক টেনিস তারকা বরিস বেকার ব্রিটেনের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। পরে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্যের কারাগারে ছিলেন ছয়টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা-জয়ী বরিস।
২০১৭ সালে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার পর লক্ষ লক্ষ পাউন্ডের সম্পদ গোপন করার অভিযোগে অভিযুক্ত হন ৫৫ বছর বয়সি সাবেক টেনিস তারকা। গত এপ্রিলে লন্ডনের এক আদালত তাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেয়।
‘‘কোনো বিদেশি নাগরিক কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ও কারাদণ্ড দেওয়া হলে তাকে দ্রুততম সময়ে তার দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা হয়।’’
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়। তবে সেখানে বরিস বেকারের মামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
তার আইনজীবী জানান, জেল থেকে মুক্তি দিয়ে তাকে জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে জার্মানিতে বেকার কোনো ধরনের শাস্তিমূলক বিধি নিষেধের মধ্যে থাকবেন না।
দুই দশক আগে জার্মানিতে কর ফাঁকির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বরিস। জার্মান আদালত তখন তাকে স্থগিত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। ফলে তখন তাকে জেলে যেতে হয়নি।
কনিষ্ঠতম ও প্রথম অ-বাছাইকৃত খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৮৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম উইম্বলডনে পুরুষদের একক খেতাব জেতেন বরিস বেকার। এরপর তিনি আরও দুটি উইম্বলডনসহ পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জেতেন।
ব্রিটেনের আদালতে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বরিস বলেছেন, তিনি মামলার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছেন, এমনকি তিনি তার বিয়ের আংটিও দিতে চেয়েছেন। তিনি বলেন যে, তিনি তার পরামর্শকের কথায় ভরসা রেখেছেন।
১৯৯৯ সালে অবসর নেন বরিস। পরবর্তীতে তিনি নোভাক জোকোভিচকে প্রশিক্ষণ দেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত