ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে এবার ১৬৭ ঘণ্টা পর এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পর তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের আন্তাকিয়া এলাকায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন এর সহযোগী ‘সিএনএন তুর্ক’ এর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারের পর ওই ব্যক্তিকে (পুরুষ) উঁচিয়ে ধরেন উদ্ধার কর্মীরা। তখন তিনি তাদের আলিঙ্গন করেন এবং তাদের হাত আঁকড়ে ধরেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তাকিয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের ধ্বংসাবশেষে শব্দ জরিপ চালানোর সময় জীবনের অস্তিত্ব সনাক্ত করেন উদ্ধারকর্মীরা। এরপর সেখান থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তুরস্কে গত এক সপ্তাহে ২৯ হাজার ৬০৫ জন ও সিরিয়ায় ৪ হাজার ৫৭৪ জন নিহত হয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। গত সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহত কিংবা জীবিতদের বের করে আনার জন্য উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথস।
তিনি বলেন, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। ফলে প্রকৃতপক্ষে কত মানুষ মারা গেছে তা চিন্তা করাও কঠিন। হতে পারে এই সংখ্যা দ্বিগুণ বা তারও বেশি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মারমারায় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে অন্তত ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। চলতি সপ্তাহে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্প, ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের চেয়েও তিন গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল। সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/কালাম