৫ মে, ২০২৩ ১৬:৩৫

ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার নেপথ্যে কারা?

অনলাইন ডেস্ক

ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার নেপথ্যে কারা?

নতুন একটা ভিডিও ফুটেজ নিয়েই বর্তমানে বিশ্বে আলোচনা চলছে। সেই ফুটেজ ঘিরে বিশ্ব রাজনীতির পট বদলে যেতে পারে বলে শঙ্কাও করছেন অনেকে।

সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন হিসেবে পরিচিত ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই হামলার ফুটেজ রুশ গণমাধ্যমের হাত ধরে পৌঁছে গেছে বিশ্ববাসীর কাছে।

মস্কো দাবি করেছে, ইউক্রেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যদিও হালকা গড়নের ড্রোনটিকে যেখানে আছড়ে পড়েছে, সেটা ক্রেমলিনের সিনেট ভবন। পুতিনের ব্যক্তিগত বাসভবনের দূরত্ব সেখান থেকে ৩২ কিলোমিটার। আর এই হালকা ড্রোন এমন পলকা শরীর নিয়ে বড় ধরনের হামলা চালাতে সক্ষম নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশ্লেষকরা।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানের এক বিশ্লেষণেও বলা হয়েছে, ‌‘এ ধরনের হালকা ড্রোন কোনো ধরনের বড় ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে সক্ষম নয়। এই হামলা পরিষ্কারভাবেই কেবল দেখানোর জন্য (শোঅফ)।’

ইউক্রেনও পুতিনকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর বিষয়টিও সরাসরি অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা পুতিন বা মস্কোকে লক্ষ্য করে কোনো হামলা চালাইনি।’ 

এবার সামনে চলে আসছে অনেকগুলো প্রশ্ন, এটা কী আসলেই ইউক্রেনের চালানো ড্রোন হামলা? এই ধরনের হামলা চালানোর সামর্থ্য আদৌ কী ইউক্রেনের আছে? নাকি এটা রাশিয়ারই সাজানো নাটক? কেউ আবার বলছেন, কোনো তৃতীয় পক্ষ কী তবে ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে?

যদি এই হামলা মস্কোর সাজানো নাটক না হয় তবে এতে ‍পুতিনের নাককান কাটা যাওয়ার দশা হয়েছে। কারণ মুখে এতো বড়বড় বুলি আওড়ানো, অস্ত্র ভাণ্ডারে ভারী ভারী হাতিয়ার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় দাপট দেখানোর পর যদি তিনি নিজের ঘরই রক্ষা না করতে পারেন তবে লাভ কী? ক্রেমলিনের হাতে তো রয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যেকোনো ড্রোন কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার মতো শক্তিশালী হাতিয়ারও রুশ ভাণ্ডারে আছে।

তবে রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়া যে অসম্ভব কিছু নয় সেই উদাহরণও আছে। ১৯৮৭ সালের একটি ঘটনা ইতিহাসে অন্তত সেই সাক্ষীই দেয়। সেবার জার্মান কিশোর সোভিয়েত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেঙে ‘সেসনা বিমান’ নিয়ে মস্কোর রেড স্কয়ারে অবতরণ করেছিল।

তবে অনেক রণক্ষেত্র বিশ্লেষক এখনও মনে করছে, এটা রাশিয়া কর্তৃপক্ষেরই সাজানো নাটক অথবা রুশ নিরাপত্তা বাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধে মোড় ঘোরানোর জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

তবে কোনো সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত নয়। হামলায় কারা জড়িত সেই ঘটনা সম্পর্কে এখনও ধোঁয়াশায় থাকার কথা পরিষ্কার করে জানিয়েছেন বিবিসির রাশিয়া বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রিটিশ সাংবাদিক স্টিভ রোসেনবার্গ।


সূত্র: বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর