সম্প্রতি প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে এনেছে ইরান। বিষয়টি নিয়ে কিছু পশ্চিমা দেশ হস্তক্ষেপমূলক বিবৃতি দিয়ে সেটিকে “অবৈধ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে তেহরান বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে “গতানুগতিক”।

ফাত্তাহ নামে ইরানের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়ক উন্মোচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স উদ্বেগ প্রকাশ করা পর বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানায়ানি এমন মন্তব্য করেন।

নাসের কানয়ানি আরও বলেন, “পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের বহন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ধ্বংসাত্মক ভূমিকা পালন করে আসা এসব দেশ যাদের পারমাণবিক পরীক্ষা এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিরোধীকরণ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের দীর্ঘ এবং স্পষ্ট ইতিহাস রয়েছে তাদের পক্ষে এসব মন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই। বরং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জন করার ক্ষেত্রে ইরানের আইনি এবং বৈধ অধিকার রয়েছে।”

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডবাহিনী বা আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্স গত মঙ্গলবার হাইপারসনকি ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহর মোড়ক উন্মোচন করে। হাইপারসনিক মিসাইলটির পাল্লা ১,৪০০ কিলোমিটার। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৫ গুণ পর্যন্ত যেতে পারে এবং এটি বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে চলতে পারে।

উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেন, “নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের “প্রতিরোধ ক্ষমতা” বাড়াবে এবং “এই অঞ্চলের দেশগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “ইরানের এখন প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যা আঞ্চলিক দেশগুলোর নিরাপত্তা ও টেকসই শান্তিতে অবদান রাখতে পারে।”

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ-মুখপাত্র ভেড্যান্ট প্যাটেল বলেছেন, “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ সুপ্রতিষ্ঠিত।”

আর ফ্রান্স বলেছে, “এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বরের প্রস্তাবের আরেকটি লঙ্ঘন।”

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরের অভিযোগ, ক্ষেপণাস্ত্রের উন্মোচন আরও প্রমাণ করে যে ইরান অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অসম্মান দেখিয়ে আসছে। সূত্র: প্রেসটিভি

বিডি প্রতিদিন/কালাম