বারাক ওবামা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় সাবেক প্রেসিডেন্টদের একজন। দুই মেয়াদে তিনি দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনর ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
ওবামার পর ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ওই নির্বাচনে মার্কিন নাগরিকদের থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত ভোট পেয়েছিলেন হিলারি। কিন্তু ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল ভোটে জিতেছিলেন বলেই হিলারি তার কাছে পরাজিত হন।
এরপর ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে হারিয়ে দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন জো বাইডেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন বিরোধী রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই, এবার ট্রাম্পকে পরাজিত করা এবং দ্বিতীবারের মতো ডেমেক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতা অর্জনের জন্য নিজের উত্তরসূরী বারাক ওবামার সহযোগিতা চেয়েছেন জো বাইডেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গত জুন মাসের কোনও এক দিন বারাক ওবামাকে হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাইডেন। ওবামা সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করেছিলেন এবং তাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সে সময়েই আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থিতা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার ব্যাপারে ওবামার সহযোগিতা চান বাইডেন।
জবাবে ওবামা বলেন, “ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমানে তার যে সামর্থ্য ও প্রভাব রয়েছে, তা দিয়ে যতটা সম্ভব— বাইডেনকে সহযোগিতা করবেন তিনি।
ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই শীর্ষ নেতার এই একান্ত ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজ এবং বৈঠক সম্পর্কে অবগত হোয়াইট হাউসের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, বারাক ওবামা ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো দেশের প্রেসিডেন্ট হন। পরে ২০১৩ সালের নির্বাচনেও জয়ী হয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুসারে কোনও প্রেসিডেন্টেরই দুই মেয়াদের বেশি সময় এই পদে থাকতে পারেন না। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের বিশ্বাস, যদি এই বাধ্যবাধকতা না থাকতো— তাহলে ২০২০ সালের নির্বাচনেও জয়ী হতেন বারাক ওবামা।
জো বাইডেন বয়সে বারাক ওবামা থেকে ১৯ বছরের বড়। ১৯৮৮ সালে নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা চাইলেও তা পাননি তিনি। তারপর ২০০৮ সালের নির্বাচনেও প্রার্থিতা চেয়ে ব্যর্থ হন বাইডেন। সেবার বারাক ওবামাকে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে ডেমোক্রেটিক পার্টি।
বারাক ওবামা অবশ্য সেই নির্বাচনে জিতে জো বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছিলেন। তারপরের মেয়াদেও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন বাইডেন। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/কালাম