পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে হামলায় নারী-শিশুসহ প্রায় ১০০ জন নিহতের ঘটনায় তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
গত সপ্তাহে হামলায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। অবশ্য ভয়াবহ এই হামলার পেছনে কারা জড়িত তা স্পষ্ট নয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বুরকিনা ফাসোতে প্রায় ১০০ জনকে হত্যার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইইউ। ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০০ জন বেসামরিক লোককে গণহত্যার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্রও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তবে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির জাওঙ্গো গ্রামে গত ৬ নভেম্বর হওয়া এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিহতদের কোন পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করার জন্য বুরকিনা ফাসোর সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জোসেপ বোরেল। তবে আফ্রিকার দেশটির এই জান্তা সরকার এখনও তাতে সাড়া দেয়নি।
মূলত বুরকিনা ফাসো প্রতিবেশী মালি থেকে ছড়িয়ে পড়া জিহাদি বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলো বুরকিনা ফাসোর প্রায় ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেশটির সামরিক সরকার বেসামরিক ব্যক্তিদের এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিতে বাধ্য করছে।
ত্রাণ সংস্থার মতে, বিদ্রোহের কারণে বুরকিনা ফাসোর প্রায় এক-চতুর্থাংশ স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। একজন বাসিন্দা বলেছেন, জাওঙ্গো গ্রামটি ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের মধ্যে একটি যেটি ‘সন্ত্রাসীরা’ এখনও ছেড়ে যায়নি।
তিনি বলেছেন, “গ্রামের বাসিন্দারাও তাদের সহযোগিতা করছে বলে কেউ কেউ সন্দেহ করছেন।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবিলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা এবং আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া গত এক দশকে আফ্রিকার এই দেশটিতে সহিংসতা অনেক বেড়েছে এবং জোরালো হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ