গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় যে ধ্বংসাবশেষ হয়েছে তা সরাতে ১৪ বছর লাগতে পারে। বিশেষ করে অবিস্ফোরিত বোমা থেকে গাজাকে বসবাসের জন্য নিরাপদ করতে এই সময়ের প্রয়োজন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের ‘ডিমিনিং বিশেষজ্ঞ’ পেহর লোধাম্বার।
শুক্রবার জাতিসংঘের ‘মাইন অ্যাকশন সার্ভিস’র উর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলি হামলায় ৩৭ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ জমা হয়েছে। জেনেভায় জাতিসংঘের মাইন বিশেষজ্ঞ পেহর লোধাম্বার গণমাধ্যমকে আরো বলেছেন, ছিটমহলে অবিস্ফোরিত অস্ত্রের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ সেখানে গত ৭ মাসের বোমাবর্ষণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত গাজার প্রতি বর্গমিটারে ২০০ কিলোগ্রাম ধ্বংস্তুপ রয়েছে। লোধাম্বার বলেন, আমি শুধু বলতে পারি যে অন্তত: ১০% গোলাবারুদ যেগুলি ছোঁড়া হচ্ছে তা প্রত্যাশিত আঘাত করতে ব্যর্থ হয় অর্থাৎ বিস্ফোরিত হয়নি, সেগুলোসহ ধ্বংসাবশেষ সরাতে দৈনিক ১০০টি করে ট্রাক ব্যবহার করলে ১৪ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে অর্থাৎ মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার কর্মদিবসের প্রয়োজন হবে।
এদিকে, নিউইয়র্কে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ১৭ এপ্রিল সৃষ্ট অবস্থান ধর্মঘট বিস্তৃত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসেও। শুক্রবার পর্যন্ত সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে চলমান এই বিক্ষোভে কোনো ভাটা পড়েনি। অধিকন্তু ক্রমান্বয়ে তা বিস্তৃত হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটিতে কলম্বিয়ার সন্নিকটে ‘নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি’র একটি ক্যাম্পাসেও তাবু গেঁড়ে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষকসহ ১২০ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। তবুও থামেনি বিক্ষোভ-অবস্থান। ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, শিকাগো, জর্জিয়া, মিশিগান, ম্যাসেচুসেট্্স, কানেকটিকাট ছাড়িয়ে কলরাডোর ডেনভারেও বিশ্ববিদালয় ক্যাম্পাাসমূহে তাঁবু গেড়ে অবস্থান ধর্মঘট বিস্তৃত হয়েছে। তারা ইসরায়েলের সাথে সবধরনের ব্যবসা-বিনিয়োগের সম্পর্ক বর্জনের ডাক দিয়েছেন। স্লোগান উঠেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা দাবিতে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল