ইরান বা এর মিত্র গোষ্ঠী চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এমন প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা ইরানকে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন তারা হামলা থেকে নিজেদের নিবৃত্ত রাখেন। যদিও ইসরায়েলে হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর ইরান।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার এই সম্ভাবনা ইসরায়েল সরকারের বিবৃতিতেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলছিলেন, “সম্ভাব্য বড় ধরনের একাধিক হামলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আর সেজন্য বিগত কয়েকদিনে ওই অঞ্চলে আমাদের বাহিনীর বিন্যাস ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
এমন পরিস্থিতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে টেলিফোন করে সম্ভাব্য সামরিক হামলা থেকে নিবৃত্ত থাকার অনুরোধ জানান যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কের স্টারমার। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানায়, স্টারমারের কথার জবাবে পেজেশকিয়ান বলেছেন, সন্ত্রাস থামানোর উপায় হলো ‘প্রতিশোধ’ এবং তার ‘ন্যায্য অধিকার’ তাদের রয়েছে।
সম্প্রতি পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে তেহরানে হত্যা করা হয় হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। সেই হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান ও এর মিত্র গোষ্ঠীর দৃঢ় সংকল্পের ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র গত ১১ আগস্ট ঘোষণা করে যে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক শক্তিচালিত মিসাইলসজ্জিত সাবমেরিন ইউএসএস জর্জিয়া মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার ক্ষেত্রে আর দেরি করা উচিত নয়। ইসরায়েলে ইরান ও এর মিত্র গোষ্ঠী হামলা চালালে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। তাই হামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
হানিয়াকে হত্যার অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেনি ইসরায়েল। তারা বরং সম্ভাব্য হামলা ঠেকানোর সব প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/একেএ