কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের দেহে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। এমনকি তার দেহে ধর্ষণের আলামতও পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এছাড়া তার গোপনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশের চেষ্টা করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু, গোড়ালি এবং গোপনাঙ্গে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওই চিকিৎসকের ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। শরীরে আরও কিছু অংশেও রক্ত জমাটের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় একাধিক মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ওই চিকিৎসকের দেহে ‘১৫০ গ্রাম সিমেন’ মিলেছে। কলকাতা হাইকোর্টে তার পরিবার যে পিটিশন দায়ের করেছে, সেখানেও এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘সিমেন’ সংক্রান্ত কোনো তথ্য উল্লেখ নেই।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হলে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি পেশায় ছিলেন পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।
বিডি-প্রতিদিন/শআ