শিরোনাম
প্রকাশ: ১৪:৫৪, রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ আপডেট:

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে সামরিক শক্তি অর্জন করেছে ইরান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে সামরিক শক্তি অর্জন করেছে ইরান

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ অবনতির দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইসরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এটিকে ইসরায়েলের অপরাধের ‘ন্যূনতম শাস্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী।

এ হামলার কৌশলগত দিক বিশ্লেষণ করে আমেরিকার ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বলছে, এত বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র এমনভাবে ছোড়া হয়েছে যেটি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চাপে ফেলেছে। ইসরায়েলি বাহিনী সবার আগে ঘনবসতি এলাকায় হামলা ঠেকাতে চেয়েছে এবং তুলনামূলক কম ঘনবসতি এলাকা ঝুঁকির মুখে পড়ে।

এজন্য বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি যেগুলো তুলনামূলক কম ঘনবসতি এলাকায় সেগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি ইসরায়েল। তেল আবিবের কাছে গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দফতরের কাছেও আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র।

তেহরান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জুলাই মাসে তেহরানে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা এবং বৈরুতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হত্যার জবাব দিতে এ হামলা করেছে তারা।

আগে থেকেই ইসরায়েল বা আমেরিকার জন্য একটা বড় মাথাব্যথার জায়গা ছিল ইরান। লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি, অথবা সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্রশস্ত্রের পেছনে ইরানের সম্পৃক্ততার কথা এসেছে বারবার।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ ছিল অনেক আগে থেকেই। আয়রন ডোমসহ শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও ইরানের হামলা পুরোপুরি ঠেকাতে পারেনি ইসরায়েল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বহু ধরনের নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান কীভাবে এই সামরিক সক্ষমতা অর্জন করছে?

আধুনিক অস্ত্রের ইতিহাস

ইরানের বর্তমান অস্ত্রের সক্ষমতার পেছনে যেসব বিষয় কাজ করেছে সেটা জানতে একটু পেছন থেকে শুরু করতে হবে।

ইরানের সামরিক বাহিনীর ইতিহাস আড়াই হাজার বছর পুরনো। তবে আধুনিক সেনাবাহিনী বা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার শুরুটা হয়েছিল রেজা খান বা রেজা শাহ পাহলভির হাত ধরে, যিনি ১৯২০ এর দশকে সেনাকমান্ডার থেকে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ও রাজা হয়েছিলেন।

সামরিক বাহিনীর কমান্ডার হওয়ার পর তিনি আরতেশ বাহিনী গঠন করেন যেটিকে আধুনিক এক সশস্ত্র বাহিনীর সূচনা হিসেবে দেখা হয়। তিনি ইরানকে একটি আঞ্চলিক শক্তিতে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি হাজারো অফিসারকে বিদেশে মিলিটারি একাডেমিতে পাঠিয়েছিলেন, পাশাপাশি নিজ দেশের বাহিনীকে বড় করতে থাকেন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পশ্চিমা অফিসারও নিয়োগ দেন (সূত্র: দা মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউট)।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরানের দখল নেয়। নাৎসি জার্মানির সাথে সুসম্পর্কের জেরে রেজা শাহকে সরিয়ে রাজার আসনে আনা হয় তার পুত্র মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে, যিনি শাসনকালের প্রায় পুরোটা সময় পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

পশ্চিমাদের নজর ছিল ইরানের তেলের দিকে, সেই তেলের অর্থে ৬০ থেকে ৭০ দশকজুড়ে মূলত আমেরিকা থেকে বহু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনা হয়। ইরানের শেষ শাহ বা রাজা মোহাম্মদ রেজা পাহলভি দেশকে আধুনিকায়ন করতে উদ্যোগ নিলেও জনবিচ্ছিন্নতা, একনায়কতন্ত্র এমন নানা প্রেক্ষাপটে বিপ্লবের সূচনা হয়। দাঙ্গা, ধর্মঘট আর বিক্ষোভের বাস্তবতায় দেশ ছেড়ে পালাতে হয় শাহ ও তার পরিবারকে। তবে তার অস্ত্র কেনা, সামরিক প্রশিক্ষণ, এমন নানা পদক্ষেপের কারণে ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের সময় ইরানের বাহিনী ছিল সেঅঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর একটি।

ইরানের সামরিক শক্তির ইতিহাস ও সক্ষমতার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে আমেরিকার ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রতিবেদনে।

বিপ্লব, নিষেধাজ্ঞার শুরু, সামরিক দিকে মোড় ঘোরানো ইরান-ইরাক যুদ্ধ

ইসলামি বিপ্লবের সাথে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির প্রত্যাবর্তন বা উত্থানেও সমস্যা ছিল না, সমস্যা বাঁধে কয়েক মাসের মাথায় যখন তার অনুগত একদল শিক্ষার্থী তেহরানে মার্কিন দূতাবাসের দখল নিয়ে ৫২ জন আমেরিকানকে জিম্মি করে। তাদের দাবি ছিল দেশান্তরী শাহকে বিচারের জন্য তেহরানে আনা। ৪৪৪ দিন স্থায়ী হওয়া এই সংকটের জেরে ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরান সেসময় অনেকটা একঘরে এবং সামরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। সেটাকেই ‘প্রথম অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা’ বলা যায়, যার জেরে তখন পর্যন্ত বাকি থাকা অস্ত্রের সরবরাহ আর পায়নি ইরান। শাহ পাহলভির রেখে যাওয়া সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ড কর্পস বা বিপ্লবী বাহিনী গড়ে তোলা হয় আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে।

১৯৮০ সালে ইরানে হামলা চালায় ইরাক। প্রাথমিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেও ধীরে ধীরে পেশাদারিত্ব বাড়তে থাকে নব্য গঠিত বিপ্লবী গার্ডের। ১৯৮২ সালে সাদ্দাম হোসেনের বাহিনীকে হটিয়ে পাল্টা হামলা করে ইরান।

প্রথমদিকে আগেরকার মার্কিন অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করলেও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে এক পর্যায়ে জোড়াতালি দেওয়া শুরু করতে হয়, যেমন একটি ফাইটার এফ-ফোরটিনের যন্ত্রাংশ আরেকটায় লাগিয়ে, বলেন ড. হুশ্যাং হাসান ইয়ারি, যিনি সামরিক ও ইরান বিষয়ক বিশ্লেষক এবং কানাডার রয়্যাল মিলিটারি কলেজের একজন এমিরেটাস অধ্যাপক।

“লিবিয়া থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি স্কাড মিসাইল ও যন্ত্রাংশ এনে, রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে কীভাবে বানানো হয়েছে, সেটা দেখে নিজেরা বানানোর চেষ্টা করে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিগ্যানও গোপনে কিছু অস্ত্র বিক্রি করে যা কন্ট্রা স্ক্যান্ডাল নামে পরিচিত। ইসরায়েল কিছু অস্ত্র পায়, উত্তর কোরিয়া থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নেয়। ধীরে ধীরে এগুলোর সাথে নানা গবেষণা চালিয়ে প্রয়োজন মেটাতে থাকে এবং তারা অবৈধভাবে বাইরে থেকে অস্ত্র আনার একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ঢুকে যায়,” বলেন ড. ইয়ারি।

১৯৮৮ সালে যথেষ্ট সমর্থন এবং রসদের অভাবে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য হলেও যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ে ইরানের সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা নীতিতে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি, সব মিলিয়ে পরবর্তী দশকগুলোতে স্বনির্ভরতা ও যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ হয় ইরান।

বিপ্লব এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে বলে উল্লেখ করেন বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পারহাম ঘোবাদিও। বিশেষত ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইলের বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হয় এবং এজন্য “উত্তর কোরিয়ান, চীনা এবং রাশিয়ানদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে থাকে এবং নিজেরাই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে থাকে,” বলেন ঘোবাদি।

৯০-এর দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শিয়া গোষ্ঠী আর বিভিন্ন দিকে সম্ভাব্য মিত্রদের সাথে নেটওয়ার্ক শক্ত করতে থাকে ইরান। চার দশকের বেশি সময় ধরে বহু ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসে দেশটির উপর। শুধুমাত্র জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরান সংশ্লিষ্ট ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা।

বর্তমান সক্ষমতা এবং এর উৎস

ইসরায়েলের এবারকার হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যেটি অনেক কম সময়ে আঘাত হানতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, এগুলো ঠেকানো কিছুটা কঠিন কারণ এর গতি।

এপ্রিল মাসে ইসরায়েলে ইরান যে হামলা করেছিল সে তুলনায় এটি একটি বড় পার্থক্যের জায়গা বলে উল্লেখ করেন ঘোবাদি। আগেকার হামলায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনের মতো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

যেখানে ড্রোন ইসরায়েলে পৌঁছাতে ৬-৭ ঘণ্টা সময় নেয় সে তুলনায় এবারকার হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি করেছে ইরান যেটা ইসরায়েল পৌঁছাতে গড়পড়তা ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে বলে উল্লেখ করেন পারহাম ঘোবাদি। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের মতো দূরত্ব এত কম সময়ে পাড়ি দেওয়ায় আগের তুলনায় বেশি আঘাত হানতে পেরেছে মনে করেন তিনি।

শুধু ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে দেখলেও ইরানের স্বল্প ও দূরপাল্লার বিভিন্ন ধরনের মিসাইল রয়েছে। যেমন শাহাব-৩ দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পাড়ি দিতে সক্ষম, অর্থাৎ ইসরায়েল পার করে মিশর, অন্যদিকে ইউরোপ, রাশিয়া, ভারত বা চীন পর্যন্তও যেতে পারে সে ক্ষেপণাস্ত্র।

ইরানের অস্ত্র সরঞ্জামের বড় যোগানদাতা রাশিয়া হলেও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই নিজেদের তৈরি ড্রোন দিয়েছে ইরান।

অনেকে বলেন, ইরান যদি একবার কিছু একটা দেখার সুযোগ পায় এবং মনে করে তাদের জন্য এটা ভালো হতে পারে তাহলে সেটা তারা বানিয়ে ফেলতে পারে। “কয়েক বছর আগে আমেরিকার ড্রোন ভূপাতিত করার পর তারা ড্রোন বানাতে থাকে এবং এখন ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি তাদের প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ড্রোন,” বলেন ঘোবাদি।

তবে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ মাধ্যম আইএসএনএ’র এপ্রিল মাসের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স আরও বেশ কিছু দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য উল্লেখ করেছ। যেমন: হাজ কাসেম– ১৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে, খেইবার– ২০০০ কিলোমিটার এবং সেজিল– ২৫০০ কিলোমিটার, যেটি ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটতে সক্ষম।

মধ্যপ্রাচ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা ইরানের সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র। বহু ধরনের মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রের বহর ছাড়াও অনেক ধরনের অস্ত্রসম্ভার রয়েছে ইরানের।

সেনাবাহিনীর রয়েছে অনেক ধরনের বন্দুক, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, রকেট লঞ্চারের মতো অস্ত্র। নৌবাহিনীর রয়েছে অনেক ধরনের ছোট-বড় রণতরী, নেভাল মাইন বা বিস্ফোরক, ডুবোজাহাজ, হেলিকপ্টারবাহী তরী এবং টহল জাহাজ।

বিমান বাহিনীর আছে হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান ও বহু ধরনের ড্রোন। সাইবার শক্তিও যথেষ্ট উন্নত করেছে ইরান। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ করার দিক তো ছিলই, যেটা নিয়ে সম্প্রতি জো বাইডেনও জানিয়েছেন, ইরানে কোনও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা তিনি সমর্থন করেন না।

নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর বহরকে তুলনামূলক পুরনো ধাঁচের বা কম সক্ষম হিসেবে দেখা হলেও মঙ্গলবারের হামলা থেকে বোঝা যাচ্ছে তাদের হামলা এবং আঘাত করতে পারার যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে, বলেন ঘোবাদি।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্যানুয়ায়ী সামরিক সক্ষমতায় ১৪৫টি দেশের মধ্যে ইরানের অবস্থান ১৪তম যা ইসরায়েলের (১৭তম) চেয়েও এগিয়ে। তাদের হিসেবে ইরানের ৫৫১টি সামরিক বিমান, ১২৯টি হেলিকপ্টার, ৬৫,৭৬৫টি সাঁজোয়া যান, ১,৯৯৬টি ট্যাংক, ১০১টি যুদ্ধজাহাজ ও ১৯টি ডুবোজাহাজ রয়েছে।

তবে ইরানের অস্ত্র নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সেখানেও পাওয়া যায় না। উদাহরণস্বরূপ সেখানে ইরানের নৌবাহিনীতে কোনও আকাশযান বা হেলিকপ্টার বহন করার সক্ষমতা নেই বলা হয়, যদিও ২০২১ সালে ইরানের সামরিক মহড়ার প্রকাশিত ছবিতে মাকরান নামে একটি হেলিকপ্টারবাহী জাহাজ দেখা যায়।

তবে প্রশ্ন আসে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে এই সক্ষমতা তৈরি করলো। “নিজস্ব অস্ত্র সমৃদ্ধ করতে ইরান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে যন্ত্রাংশ চোরাচালান করে নিয়ে আসে। এছাড়া রাশিয়া তো আছেই, চীন ও উত্তর কোরিয়ার উপরেও কিছুটা নির্ভর করে তারা, বলেন ড. হুশ্যাং হাসান ইয়ারি।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী শুধু ২০২৩ সালেই ইরান ১০.৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক হাজার কোটি ডলারের বেশি অস্ত্রের পেছনে খরচ করেছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের হিসেবে বছরে ৯৯৫ কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ করা হয় সামরিক খাতে।

তবে ড. ইয়ারির মতে, পশ্চিমাদের তুলনায় ইরানের অস্ত্র অতটা নিখুঁত না হওয়ায় তারা বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বাড়িয়েছে যেটা সাম্প্রতিক হামলাগুলো থেকেও লক্ষ্য করা যায়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি করতে কাজ করার মতো ইরানের বেশ কিছু স্কলার রয়েছেন যারা ন্যানোটেকনোলজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর মতো গবেষণা ও কাজ করেন, বলেন ড. রাজিয়া সুলতানা যিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। ইরান, মধ্যপ্রাচ্য, লেবাননের হিজবুল্লাহ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী লেখা রয়েছে তার। ইরান বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য রফতানিও করে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

এত অর্থ আসে কীভাবে?

ইরানের আর্থিক সামর্থ্যের পেছনে সবচেয়ে বড় যে দিক কাজ করেছে সেটি মূলত এর প্রাকৃতিক সম্পদ। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যানুযায়ী ২০২১ সালেও বিশ্বে গ্যাসের দ্বিতীয় ও তেলের তৃতীয় বৃহত্তম মজুদ ছিল ইরানের। তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদে যথেষ্ট সমৃদ্ধ ইরান।

এছাড়া ইরান লাগোয়া হরমুজ প্রণালী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত এ অংশ দিয়ে বিশ্বের ২১ শতাংশ তেলের সরবরাহ হয়। মজার বিষয় হলো- ইরানের জ্বালানি কেন্দ্র করে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও খোদ আমেরিকাও তাদের জ্বালানি কেনে। মাঝে ১০ বছর পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও গত চার বছরে কিছু তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য কিনেছে তারা, যেটা প্রকাশ করেছে আমেরিকাই।

জ্বালানি তো বটেই, এর বাইরেও নানা ধরনের পণ্য রফতানি করে ইরান। বিশ্বে বাণিজ্যে খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ইরানের আপেল, গম, যব, কমলা, আখ, আলু, পোল্ট্রি বা সবজির মতো পণ্য রয়েছে, এছাড়া অস্ত্র, সিমেন্ট, রাসায়নিক পদার্থ, নির্মাণ সামগ্রী, সার, ধাতব পণ্য, টেক্সটাইলের মতো অনেক ধরনের পণ্য রয়েছে, এবং বড় যুদ্ধ বাঁধলে সেসব খাতে বিশ্ববাজারে একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে তারা (তথ্য – গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার)।

বাংলাদেশেও ইরানের আতর, রত্নপাথর বা জাফরানের মতো পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া পারস্য সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস ইরানের পণ্যকে বিশ্বব্যাপী আলাদা একটা নামডাকের জায়গা দিয়েছে, বলেন ড. সুলতানা।

ইরানের কার্পেট, কারুপণ্য ও হস্তশিল্পে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমেরিকা যে ইরানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তা সত্ত্বেও আমি ওয়াশিংটনে, বোস্টনে সেসব কার্পেটের দোকান দেখেছি।”

আনঅফিসিয়াল বাণিজ্যের মাধ্যমে বার্টার, হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক বাজারও ধরে রেখেছে ইরান যেখানে বড় ক্রেতা হিসেবে আফগানিস্তান, সিরিয়া, তুরস্ক, চীন, রাশিয়ার মতো দেশ রয়েছে বলেন তিনি।

ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানও রয়েছে যেটা এশিয়ার সাথে মধ্যপ্রাচ্য, পারস্য উপসাগর এবং ইউরোপের সংযোগ তৈরি করে। অনেক ইরানি বিশ্লেষক মনে করেন নিষেধাজ্ঞায় জনগণের উপরে বড় ধাক্কা আসলেও সেসব নিষেধাজ্ঞাই ইরানকে স্বনির্ভর হতে, নিজেদের উন্নতিতে বিকল্প পথ তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

এছাড়া ইরানের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সমৃদ্ধ করতে নেতৃত্বের একটা বড় প্রভাবের কথাও আসে। ইরানের কিছু পর্যবেক্ষকের সাথে আলোচনায় ড. সুলতানা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন, “তার (খামেনি) একনায়কতন্ত্রটা দেশের জনগণ অতটা ভালোভাবে না নিলেও তারা এটা স্বীকার করে যে দেশের স্বার্থে, বিশেষত পশ্চিমা শক্তিকে পাল্লা দিতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব ধরে রাখতে আয়াতুল্লাহ খামেনির যে নেতৃত্ব এবং সাহস সেটা বড় ভূমিকা পালন করে।”

এমন অনেক কিছুর সমন্বয়ে নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের একটি বড় আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করে গেছে ইরান। গড়ে তুলেছে বিস্তৃত এক প্রক্সি নেটওয়ার্ক।

বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে পশ্চিমা নানা নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানে বের হয়ে আসার মতো কোনও আলামত তো নেই, বরং বড়সড় যুদ্ধে জড়ালে আরও কিছু নতুন বাস্তবতার মুখেই পড়তে যাচ্ছে তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর
ফ্রান্সে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যার দায়ে প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন
ফ্রান্সে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যার দায়ে প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন
শিশুদের বুকার পুরস্কার ঘোষণা, বিচারক শিশুরাও
শিশুদের বুকার পুরস্কার ঘোষণা, বিচারক শিশুরাও
মালয়েশিয়ায় নেমেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল
মালয়েশিয়ায় নেমেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল
যে কারণে কানাডার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের
যে কারণে কানাডার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের
আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের
আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের
যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত
যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত
বিমান দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেয়েছে হংকং
বিমান দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেয়েছে হংকং
আসিয়ান সম্মেলনে ট্রাম্প, প্রত্যাশা কি?
আসিয়ান সম্মেলনে ট্রাম্প, প্রত্যাশা কি?
নর্থ ক্যারোলিনায় পার্টিতে বন্দুক হামলা, নিহত ২
নর্থ ক্যারোলিনায় পার্টিতে বন্দুক হামলা, নিহত ২
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন কনলি
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন কনলি
বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব
বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব
‘যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরানের সশস্ত্র বাহিনী’
‘যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরানের সশস্ত্র বাহিনী’
সর্বশেষ খবর
ফ্রান্সে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যার দায়ে প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন
ফ্রান্সে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যার দায়ে প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিশুদের বুকার পুরস্কার ঘোষণা, বিচারক শিশুরাও
শিশুদের বুকার পুরস্কার ঘোষণা, বিচারক শিশুরাও

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়ালালামপুর এখন বিশ্বব্যাপী কূটনীতি এবং অর্থনৈতিক সংলাপের কেন্দ্রবিন্দু
কুয়ালালামপুর এখন বিশ্বব্যাপী কূটনীতি এবং অর্থনৈতিক সংলাপের কেন্দ্রবিন্দু

৬ মিনিট আগে | পরবাস

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ব্রুকের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি
ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ব্রুকের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি

৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে ভুয়া চাকরির প্রলোভন, নতুন ফাঁদে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা
ফেসবুকে ভুয়া চাকরির প্রলোভন, নতুন ফাঁদে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা

১৪ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ধারাবাহিকতা রেখে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা আয়োজনের দাবি
ধারাবাহিকতা রেখে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা আয়োজনের দাবি

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

লঙ্কানদের কাছে হারের পর চার দিন ঘুমাতে পারেননি সোবহানা-জ্যোতিরা
লঙ্কানদের কাছে হারের পর চার দিন ঘুমাতে পারেননি সোবহানা-জ্যোতিরা

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বৃষ্টিহীন ঢাকায় আজও থাকবে গরমের দাপট
বৃষ্টিহীন ঢাকায় আজও থাকবে গরমের দাপট

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

বেশি পানি পানে হতে পারে কিডনির ক্ষতি
বেশি পানি পানে হতে পারে কিডনির ক্ষতি

৩১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

মালয়েশিয়ায় নেমেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল
মালয়েশিয়ায় নেমেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

চোটের কারণে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে শ্রেয়াস
চোটের কারণে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে শ্রেয়াস

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

থানচি বলিবাজারে আগুন
থানচি বলিবাজারে আগুন

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন, বিকালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারতের
শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন, বিকালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারতের

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি, টেকনাফে নারী আহত
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি, টেকনাফে নারী আহত

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন
২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলন্ত অবস্থায় বগি বিচ্ছিন্ন, ফেলেই ২ কিলোমিটার গেল ট্রেন
চলন্ত অবস্থায় বগি বিচ্ছিন্ন, ফেলেই ২ কিলোমিটার গেল ট্রেন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘চার হারের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বাজে’
‘চার হারের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বাজে’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে দুই বাসের চাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
কক্সবাজারে দুই বাসের চাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু, সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ওমরাহ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাকিমির জোড়া গোলে পিএসজির দারুণ জয়
হাকিমির জোড়া গোলে পিএসজির দারুণ জয়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে কারণে কানাডার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের
যে কারণে কানাডার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের
আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, যুবক আটক
নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, যুবক আটক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চানখারপুলে ছয় হত্যা, হাবিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আজ ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ
চানখারপুলে ছয় হত্যা, হাবিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আজ ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এইচএসসিতে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন সোয়া ২ লাখ পরীক্ষার্থীর
এইচএসসিতে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন সোয়া ২ লাখ পরীক্ষার্থীর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত
যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা, অপরিবর্তিত তাপমাত্রা
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা, অপরিবর্তিত তাপমাত্রা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তিন দাবিতে ডাকসুর বিক্ষোভ ও রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও আজ
তিন দাবিতে ডাকসুর বিক্ষোভ ও রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও আজ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ
আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রকাশ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ
প্রকাশ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ
মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা
সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব
বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের
গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সরিষার তেলের যত গুণ
সরিষার তেলের যত গুণ

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, বৃষ্টির আভাস
লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, বৃষ্টির আভাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’
যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল
ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে : সালাহউদ্দিন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিরুদ্ধে দাঁড়াতে নিজের মুসলিম পরিচয়ে দৃঢ় অবস্থান মামদানির
‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিরুদ্ধে দাঁড়াতে নিজের মুসলিম পরিচয়ে দৃঢ় অবস্থান মামদানির

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়— এটি ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’
শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়— এটি ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর
জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী
ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন
২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ে করতে যাওয়া বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
বিয়ে করতে যাওয়া বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের
গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী
প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন
যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস
টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা, চার পৃষ্ঠার চিঠি
ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা, চার পৃষ্ঠার চিঠি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাইপ বোরিং করতে গিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস, রান্না করছেন অনেকে
পাইপ বোরিং করতে গিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস, রান্না করছেন অনেকে

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
একটি ফোন কলের অপেক্ষা
একটি ফোন কলের অপেক্ষা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান
বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান

নগর জীবন

মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন

প্রথম পৃষ্ঠা

অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!
অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!

পেছনের পৃষ্ঠা

নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর
তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দূরত্ব ও সময় মেপে টাকা নেয় সিন্ডিকেট
দূরত্ব ও সময় মেপে টাকা নেয় সিন্ডিকেট

প্রথম পৃষ্ঠা

বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা
বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক মেয়রসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক মেয়রসহ চারজন

নগর জীবন

এক মঞ্চে জাতীয় নেতারা
এক মঞ্চে জাতীয় নেতারা

প্রথম পৃষ্ঠা

একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু
একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু

শোবিজ

তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা
তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুরফুরে মেজাজে বুবলী
ফুরফুরে মেজাজে বুবলী

শোবিজ

নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়
নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ
বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ

শোবিজ

জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের
জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের

মাঠে ময়দানে

অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি
অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি

শোবিজ

অনুশীলনে টাইগাররা
অনুশীলনে টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি
ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি

মাঠে ময়দানে

অ্যালানার ৭ উইকেট
অ্যালানার ৭ উইকেট

মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আসছেন আজ
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আসছেন আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ
নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ

মাঠে ময়দানে

খেলল কিংস জিতল আল সিব
খেলল কিংস জিতল আল সিব

মাঠে ময়দানে

বিরতিতে জাহ্নবী
বিরতিতে জাহ্নবী

শোবিজ

সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য
সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য

দেশগ্রাম

জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে
জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে

দেশগ্রাম

অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর
অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর

দেশগ্রাম

সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ
সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ

দেশগ্রাম

গলার কাঁটা স্লুইসগেট
গলার কাঁটা স্লুইসগেট

দেশগ্রাম