শিরোনাম
প্রকাশ: ১৪:৫৪, রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ আপডেট:

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে সামরিক শক্তি অর্জন করেছে ইরান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে সামরিক শক্তি অর্জন করেছে ইরান

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ অবনতির দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইসরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এটিকে ইসরায়েলের অপরাধের ‘ন্যূনতম শাস্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী।

এ হামলার কৌশলগত দিক বিশ্লেষণ করে আমেরিকার ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বলছে, এত বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র এমনভাবে ছোড়া হয়েছে যেটি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চাপে ফেলেছে। ইসরায়েলি বাহিনী সবার আগে ঘনবসতি এলাকায় হামলা ঠেকাতে চেয়েছে এবং তুলনামূলক কম ঘনবসতি এলাকা ঝুঁকির মুখে পড়ে।

এজন্য বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি যেগুলো তুলনামূলক কম ঘনবসতি এলাকায় সেগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি ইসরায়েল। তেল আবিবের কাছে গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দফতরের কাছেও আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র।

তেহরান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জুলাই মাসে তেহরানে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা এবং বৈরুতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হত্যার জবাব দিতে এ হামলা করেছে তারা।

আগে থেকেই ইসরায়েল বা আমেরিকার জন্য একটা বড় মাথাব্যথার জায়গা ছিল ইরান। লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি, অথবা সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্রশস্ত্রের পেছনে ইরানের সম্পৃক্ততার কথা এসেছে বারবার।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ ছিল অনেক আগে থেকেই। আয়রন ডোমসহ শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও ইরানের হামলা পুরোপুরি ঠেকাতে পারেনি ইসরায়েল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বহু ধরনের নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান কীভাবে এই সামরিক সক্ষমতা অর্জন করছে?

আধুনিক অস্ত্রের ইতিহাস

ইরানের বর্তমান অস্ত্রের সক্ষমতার পেছনে যেসব বিষয় কাজ করেছে সেটা জানতে একটু পেছন থেকে শুরু করতে হবে।

ইরানের সামরিক বাহিনীর ইতিহাস আড়াই হাজার বছর পুরনো। তবে আধুনিক সেনাবাহিনী বা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার শুরুটা হয়েছিল রেজা খান বা রেজা শাহ পাহলভির হাত ধরে, যিনি ১৯২০ এর দশকে সেনাকমান্ডার থেকে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ও রাজা হয়েছিলেন।

সামরিক বাহিনীর কমান্ডার হওয়ার পর তিনি আরতেশ বাহিনী গঠন করেন যেটিকে আধুনিক এক সশস্ত্র বাহিনীর সূচনা হিসেবে দেখা হয়। তিনি ইরানকে একটি আঞ্চলিক শক্তিতে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি হাজারো অফিসারকে বিদেশে মিলিটারি একাডেমিতে পাঠিয়েছিলেন, পাশাপাশি নিজ দেশের বাহিনীকে বড় করতে থাকেন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পশ্চিমা অফিসারও নিয়োগ দেন (সূত্র: দা মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউট)।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরানের দখল নেয়। নাৎসি জার্মানির সাথে সুসম্পর্কের জেরে রেজা শাহকে সরিয়ে রাজার আসনে আনা হয় তার পুত্র মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে, যিনি শাসনকালের প্রায় পুরোটা সময় পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

পশ্চিমাদের নজর ছিল ইরানের তেলের দিকে, সেই তেলের অর্থে ৬০ থেকে ৭০ দশকজুড়ে মূলত আমেরিকা থেকে বহু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনা হয়। ইরানের শেষ শাহ বা রাজা মোহাম্মদ রেজা পাহলভি দেশকে আধুনিকায়ন করতে উদ্যোগ নিলেও জনবিচ্ছিন্নতা, একনায়কতন্ত্র এমন নানা প্রেক্ষাপটে বিপ্লবের সূচনা হয়। দাঙ্গা, ধর্মঘট আর বিক্ষোভের বাস্তবতায় দেশ ছেড়ে পালাতে হয় শাহ ও তার পরিবারকে। তবে তার অস্ত্র কেনা, সামরিক প্রশিক্ষণ, এমন নানা পদক্ষেপের কারণে ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের সময় ইরানের বাহিনী ছিল সেঅঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর একটি।

ইরানের সামরিক শক্তির ইতিহাস ও সক্ষমতার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে আমেরিকার ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রতিবেদনে।

বিপ্লব, নিষেধাজ্ঞার শুরু, সামরিক দিকে মোড় ঘোরানো ইরান-ইরাক যুদ্ধ

ইসলামি বিপ্লবের সাথে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির প্রত্যাবর্তন বা উত্থানেও সমস্যা ছিল না, সমস্যা বাঁধে কয়েক মাসের মাথায় যখন তার অনুগত একদল শিক্ষার্থী তেহরানে মার্কিন দূতাবাসের দখল নিয়ে ৫২ জন আমেরিকানকে জিম্মি করে। তাদের দাবি ছিল দেশান্তরী শাহকে বিচারের জন্য তেহরানে আনা। ৪৪৪ দিন স্থায়ী হওয়া এই সংকটের জেরে ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরান সেসময় অনেকটা একঘরে এবং সামরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। সেটাকেই ‘প্রথম অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা’ বলা যায়, যার জেরে তখন পর্যন্ত বাকি থাকা অস্ত্রের সরবরাহ আর পায়নি ইরান। শাহ পাহলভির রেখে যাওয়া সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ড কর্পস বা বিপ্লবী বাহিনী গড়ে তোলা হয় আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে।

১৯৮০ সালে ইরানে হামলা চালায় ইরাক। প্রাথমিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেও ধীরে ধীরে পেশাদারিত্ব বাড়তে থাকে নব্য গঠিত বিপ্লবী গার্ডের। ১৯৮২ সালে সাদ্দাম হোসেনের বাহিনীকে হটিয়ে পাল্টা হামলা করে ইরান।

প্রথমদিকে আগেরকার মার্কিন অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করলেও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে এক পর্যায়ে জোড়াতালি দেওয়া শুরু করতে হয়, যেমন একটি ফাইটার এফ-ফোরটিনের যন্ত্রাংশ আরেকটায় লাগিয়ে, বলেন ড. হুশ্যাং হাসান ইয়ারি, যিনি সামরিক ও ইরান বিষয়ক বিশ্লেষক এবং কানাডার রয়্যাল মিলিটারি কলেজের একজন এমিরেটাস অধ্যাপক।

“লিবিয়া থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি স্কাড মিসাইল ও যন্ত্রাংশ এনে, রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে কীভাবে বানানো হয়েছে, সেটা দেখে নিজেরা বানানোর চেষ্টা করে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিগ্যানও গোপনে কিছু অস্ত্র বিক্রি করে যা কন্ট্রা স্ক্যান্ডাল নামে পরিচিত। ইসরায়েল কিছু অস্ত্র পায়, উত্তর কোরিয়া থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নেয়। ধীরে ধীরে এগুলোর সাথে নানা গবেষণা চালিয়ে প্রয়োজন মেটাতে থাকে এবং তারা অবৈধভাবে বাইরে থেকে অস্ত্র আনার একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ঢুকে যায়,” বলেন ড. ইয়ারি।

১৯৮৮ সালে যথেষ্ট সমর্থন এবং রসদের অভাবে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য হলেও যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ে ইরানের সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা নীতিতে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি, সব মিলিয়ে পরবর্তী দশকগুলোতে স্বনির্ভরতা ও যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ হয় ইরান।

বিপ্লব এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে বলে উল্লেখ করেন বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পারহাম ঘোবাদিও। বিশেষত ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইলের বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হয় এবং এজন্য “উত্তর কোরিয়ান, চীনা এবং রাশিয়ানদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে থাকে এবং নিজেরাই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে থাকে,” বলেন ঘোবাদি।

৯০-এর দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শিয়া গোষ্ঠী আর বিভিন্ন দিকে সম্ভাব্য মিত্রদের সাথে নেটওয়ার্ক শক্ত করতে থাকে ইরান। চার দশকের বেশি সময় ধরে বহু ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসে দেশটির উপর। শুধুমাত্র জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরান সংশ্লিষ্ট ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা।

বর্তমান সক্ষমতা এবং এর উৎস

ইসরায়েলের এবারকার হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যেটি অনেক কম সময়ে আঘাত হানতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, এগুলো ঠেকানো কিছুটা কঠিন কারণ এর গতি।

এপ্রিল মাসে ইসরায়েলে ইরান যে হামলা করেছিল সে তুলনায় এটি একটি বড় পার্থক্যের জায়গা বলে উল্লেখ করেন ঘোবাদি। আগেকার হামলায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনের মতো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

যেখানে ড্রোন ইসরায়েলে পৌঁছাতে ৬-৭ ঘণ্টা সময় নেয় সে তুলনায় এবারকার হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি করেছে ইরান যেটা ইসরায়েল পৌঁছাতে গড়পড়তা ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে বলে উল্লেখ করেন পারহাম ঘোবাদি। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের মতো দূরত্ব এত কম সময়ে পাড়ি দেওয়ায় আগের তুলনায় বেশি আঘাত হানতে পেরেছে মনে করেন তিনি।

শুধু ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে দেখলেও ইরানের স্বল্প ও দূরপাল্লার বিভিন্ন ধরনের মিসাইল রয়েছে। যেমন শাহাব-৩ দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পাড়ি দিতে সক্ষম, অর্থাৎ ইসরায়েল পার করে মিশর, অন্যদিকে ইউরোপ, রাশিয়া, ভারত বা চীন পর্যন্তও যেতে পারে সে ক্ষেপণাস্ত্র।

ইরানের অস্ত্র সরঞ্জামের বড় যোগানদাতা রাশিয়া হলেও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই নিজেদের তৈরি ড্রোন দিয়েছে ইরান।

অনেকে বলেন, ইরান যদি একবার কিছু একটা দেখার সুযোগ পায় এবং মনে করে তাদের জন্য এটা ভালো হতে পারে তাহলে সেটা তারা বানিয়ে ফেলতে পারে। “কয়েক বছর আগে আমেরিকার ড্রোন ভূপাতিত করার পর তারা ড্রোন বানাতে থাকে এবং এখন ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি তাদের প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ড্রোন,” বলেন ঘোবাদি।

তবে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ মাধ্যম আইএসএনএ’র এপ্রিল মাসের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স আরও বেশ কিছু দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য উল্লেখ করেছ। যেমন: হাজ কাসেম– ১৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে, খেইবার– ২০০০ কিলোমিটার এবং সেজিল– ২৫০০ কিলোমিটার, যেটি ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটতে সক্ষম।

মধ্যপ্রাচ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা ইরানের সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র। বহু ধরনের মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রের বহর ছাড়াও অনেক ধরনের অস্ত্রসম্ভার রয়েছে ইরানের।

সেনাবাহিনীর রয়েছে অনেক ধরনের বন্দুক, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, রকেট লঞ্চারের মতো অস্ত্র। নৌবাহিনীর রয়েছে অনেক ধরনের ছোট-বড় রণতরী, নেভাল মাইন বা বিস্ফোরক, ডুবোজাহাজ, হেলিকপ্টারবাহী তরী এবং টহল জাহাজ।

বিমান বাহিনীর আছে হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান ও বহু ধরনের ড্রোন। সাইবার শক্তিও যথেষ্ট উন্নত করেছে ইরান। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ করার দিক তো ছিলই, যেটা নিয়ে সম্প্রতি জো বাইডেনও জানিয়েছেন, ইরানে কোনও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা তিনি সমর্থন করেন না।

নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর বহরকে তুলনামূলক পুরনো ধাঁচের বা কম সক্ষম হিসেবে দেখা হলেও মঙ্গলবারের হামলা থেকে বোঝা যাচ্ছে তাদের হামলা এবং আঘাত করতে পারার যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে, বলেন ঘোবাদি।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্যানুয়ায়ী সামরিক সক্ষমতায় ১৪৫টি দেশের মধ্যে ইরানের অবস্থান ১৪তম যা ইসরায়েলের (১৭তম) চেয়েও এগিয়ে। তাদের হিসেবে ইরানের ৫৫১টি সামরিক বিমান, ১২৯টি হেলিকপ্টার, ৬৫,৭৬৫টি সাঁজোয়া যান, ১,৯৯৬টি ট্যাংক, ১০১টি যুদ্ধজাহাজ ও ১৯টি ডুবোজাহাজ রয়েছে।

তবে ইরানের অস্ত্র নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সেখানেও পাওয়া যায় না। উদাহরণস্বরূপ সেখানে ইরানের নৌবাহিনীতে কোনও আকাশযান বা হেলিকপ্টার বহন করার সক্ষমতা নেই বলা হয়, যদিও ২০২১ সালে ইরানের সামরিক মহড়ার প্রকাশিত ছবিতে মাকরান নামে একটি হেলিকপ্টারবাহী জাহাজ দেখা যায়।

তবে প্রশ্ন আসে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে এই সক্ষমতা তৈরি করলো। “নিজস্ব অস্ত্র সমৃদ্ধ করতে ইরান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে যন্ত্রাংশ চোরাচালান করে নিয়ে আসে। এছাড়া রাশিয়া তো আছেই, চীন ও উত্তর কোরিয়ার উপরেও কিছুটা নির্ভর করে তারা, বলেন ড. হুশ্যাং হাসান ইয়ারি।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী শুধু ২০২৩ সালেই ইরান ১০.৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক হাজার কোটি ডলারের বেশি অস্ত্রের পেছনে খরচ করেছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের হিসেবে বছরে ৯৯৫ কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ করা হয় সামরিক খাতে।

তবে ড. ইয়ারির মতে, পশ্চিমাদের তুলনায় ইরানের অস্ত্র অতটা নিখুঁত না হওয়ায় তারা বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বাড়িয়েছে যেটা সাম্প্রতিক হামলাগুলো থেকেও লক্ষ্য করা যায়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি করতে কাজ করার মতো ইরানের বেশ কিছু স্কলার রয়েছেন যারা ন্যানোটেকনোলজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর মতো গবেষণা ও কাজ করেন, বলেন ড. রাজিয়া সুলতানা যিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। ইরান, মধ্যপ্রাচ্য, লেবাননের হিজবুল্লাহ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী লেখা রয়েছে তার। ইরান বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য রফতানিও করে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

এত অর্থ আসে কীভাবে?

ইরানের আর্থিক সামর্থ্যের পেছনে সবচেয়ে বড় যে দিক কাজ করেছে সেটি মূলত এর প্রাকৃতিক সম্পদ। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যানুযায়ী ২০২১ সালেও বিশ্বে গ্যাসের দ্বিতীয় ও তেলের তৃতীয় বৃহত্তম মজুদ ছিল ইরানের। তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদে যথেষ্ট সমৃদ্ধ ইরান।

এছাড়া ইরান লাগোয়া হরমুজ প্রণালী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত এ অংশ দিয়ে বিশ্বের ২১ শতাংশ তেলের সরবরাহ হয়। মজার বিষয় হলো- ইরানের জ্বালানি কেন্দ্র করে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও খোদ আমেরিকাও তাদের জ্বালানি কেনে। মাঝে ১০ বছর পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও গত চার বছরে কিছু তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য কিনেছে তারা, যেটা প্রকাশ করেছে আমেরিকাই।

জ্বালানি তো বটেই, এর বাইরেও নানা ধরনের পণ্য রফতানি করে ইরান। বিশ্বে বাণিজ্যে খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ইরানের আপেল, গম, যব, কমলা, আখ, আলু, পোল্ট্রি বা সবজির মতো পণ্য রয়েছে, এছাড়া অস্ত্র, সিমেন্ট, রাসায়নিক পদার্থ, নির্মাণ সামগ্রী, সার, ধাতব পণ্য, টেক্সটাইলের মতো অনেক ধরনের পণ্য রয়েছে, এবং বড় যুদ্ধ বাঁধলে সেসব খাতে বিশ্ববাজারে একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে তারা (তথ্য – গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার)।

বাংলাদেশেও ইরানের আতর, রত্নপাথর বা জাফরানের মতো পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া পারস্য সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস ইরানের পণ্যকে বিশ্বব্যাপী আলাদা একটা নামডাকের জায়গা দিয়েছে, বলেন ড. সুলতানা।

ইরানের কার্পেট, কারুপণ্য ও হস্তশিল্পে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমেরিকা যে ইরানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তা সত্ত্বেও আমি ওয়াশিংটনে, বোস্টনে সেসব কার্পেটের দোকান দেখেছি।”

আনঅফিসিয়াল বাণিজ্যের মাধ্যমে বার্টার, হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক বাজারও ধরে রেখেছে ইরান যেখানে বড় ক্রেতা হিসেবে আফগানিস্তান, সিরিয়া, তুরস্ক, চীন, রাশিয়ার মতো দেশ রয়েছে বলেন তিনি।

ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানও রয়েছে যেটা এশিয়ার সাথে মধ্যপ্রাচ্য, পারস্য উপসাগর এবং ইউরোপের সংযোগ তৈরি করে। অনেক ইরানি বিশ্লেষক মনে করেন নিষেধাজ্ঞায় জনগণের উপরে বড় ধাক্কা আসলেও সেসব নিষেধাজ্ঞাই ইরানকে স্বনির্ভর হতে, নিজেদের উন্নতিতে বিকল্প পথ তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

এছাড়া ইরানের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সমৃদ্ধ করতে নেতৃত্বের একটা বড় প্রভাবের কথাও আসে। ইরানের কিছু পর্যবেক্ষকের সাথে আলোচনায় ড. সুলতানা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন, “তার (খামেনি) একনায়কতন্ত্রটা দেশের জনগণ অতটা ভালোভাবে না নিলেও তারা এটা স্বীকার করে যে দেশের স্বার্থে, বিশেষত পশ্চিমা শক্তিকে পাল্লা দিতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব ধরে রাখতে আয়াতুল্লাহ খামেনির যে নেতৃত্ব এবং সাহস সেটা বড় ভূমিকা পালন করে।”

এমন অনেক কিছুর সমন্বয়ে নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের একটি বড় আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করে গেছে ইরান। গড়ে তুলেছে বিস্তৃত এক প্রক্সি নেটওয়ার্ক।

বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে পশ্চিমা নানা নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানে বের হয়ে আসার মতো কোনও আলামত তো নেই, বরং বড়সড় যুদ্ধে জড়ালে আরও কিছু নতুন বাস্তবতার মুখেই পড়তে যাচ্ছে তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপের নিরাপত্তাও দেখতে হবে: ম্যাক্রোঁ
ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপের নিরাপত্তাও দেখতে হবে: ম্যাক্রোঁ
মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত
মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত
৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ৩৪২ জনকে হত্যা
৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ৩৪২ জনকে হত্যা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়!
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়!
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
জলবায়ু সম্মেলনে শীথিল হলো জীবাশ্ম জ্বালানি শর্ত
জলবায়ু সম্মেলনে শীথিল হলো জীবাশ্ম জ্বালানি শর্ত
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে