ইরান মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েনের তীব্র সমালোচনা করেছে। তেহরান এটাকে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অস্থিতিশীল উপস্থিতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগহাই বলেন, আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, এ অঞ্চলে আমেরিকার উপস্থিতি অস্থিতিশীলতার কারণ। তবে এটি তাদের আত্মরক্ষার সংকল্পকে দমাতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত শনিবার মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের উদ্দেশ্যে সতর্কতা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে বি-৫২ বোমারু মোতায়েনের ঘোষণা দেয়। ইসরায়েল ২৬ অক্টোবর ইরানের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালালে ইরান পাল্টা জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে অত্যাধুনিক বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েনের ঘোষণা দেয়।
গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে মিসাইল হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েল ২৬ অক্টোবর তেহরানে হামলা করে। পাল্টা সেই হামলায় চারজন ইরানি সেনা নিহত ও কয়েকটি রাডার ব্যবস্থায় ক্ষতি হয়। ইরানি গণমাধ্যম জানায়, হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাগহাই এ ঘটনার প্রতিশোধের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ইরানের জবাব হবে চূড়ান্ত ও দৃঢ়।’ এছাড়া তিনি গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতির জন্য সম্ভাব্য সব উদ্যোগে ইরানের সমর্থনের কথা জানান। গাজায় ইসরায়েল ইরান-সমর্থিত হামাস ও হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।
সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ইরানের মিসাইল প্রতিরোধ ক্ষমতা ইসরায়েলের যেকোনো আক্রমণের সম্ভাবনাকে সংকুচিত করেছে।
বাগহাই প্রেস কনফারেন্সে ইরানের পারমাণবিক নীতি অপরিবর্তিত থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির সাম্প্রতিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইরান তার আত্মরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়ে সজ্জিত থাকবে।’
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল