মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে মার্কিন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা ইরানের প্রতি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইউএস এয়ার ফোর্সের এফ-১৫ই স্ট্রাইক ঈগল যুদ্ধবিমান ইংল্যান্ডের আরএএফ লেকেনহিথ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের দায়িত্বাধীন অঞ্চলে পৌঁছেছে।
১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে বোমারু বিমান, যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্কার বিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ইরান, তার সহযোগী বা মিত্ররা এই সময়ে যদি মার্কিন স্বার্থ বা কর্মীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে ২৬ অক্টোবর ইসরায়েল ইরানে সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও তেল স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়নি ইসরায়েল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
২০২৪ সালে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দুটি বড় হামলা চালায়। একটি ছিল এপ্রিলে, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে, অন্যটি ছিল অক্টোবর মাসে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক মোতায়েন পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল