জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে এই ক্ষমা চাইলেন তিনি।
ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শুক্রবার দফায় দফায় জরুরি বৈঠক করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো। প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে আজ শনিবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে সামরিক আইন জারির ঘোষণার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জনগণের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের অসুবিধায় ফেলে দেয় আমার এই সিদ্ধান্ত। এ জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”
প্রেসিডেন্ট ইউন আরও বলেন, “এই ঘোষণার ফলে যেকোনও আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় আমি এড়াতে পারি না। মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে যে, আবারও সামরিক আইন জারি করা হবে কি না; তবে আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে বলতে পারি, অবশ্যই না... আর সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হবে না।”
গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আইনপ্রণেতারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ