সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ার পর ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, দামেস্কে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে হামলা চালানো হয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দূতাবাসে ক্ষতির চিত্র এবং ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির ছেঁড়া পোস্টার দেখা গেছে। সোলাইমানি সিরিয়ার আসাদ সরকারের সমর্থনে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী তৈরি করেছিলেন। ২০২০ সালে বাগদাদ বিমানবন্দরে এক মার্কিন বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।
আসাদ সরকারের পতনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দীর্ঘদিনের সমর্থন কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মার্কিন এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের বিজয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের কৃত্রিম প্রভাব ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরানের দুই গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিজবুল্লাহ ও হামাস বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের ফলে ইরান তাদের আরেক প্রধান মিত্র হারাল।
আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি হতে পারে। ইরান দীর্ঘদিন ধরে আসাদ সরকারকে সহায়তা করে আসছিল। কিন্তু সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিজয়ের ফলে ইরানের কৌশলগত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে দামেস্ক যাওয়ার ফলে নতুন রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল