ইয়েমেনের হুতিরা দাবি করেছে যে তারা ইসরায়েলে সফলভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এ দাবি করেন।
টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটির সামরিক শাখার এ মুখপাত্র জানান, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল লক্ষ্য করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘ফিলিস্তিন ২’।
তবে ভিন্ন কথা বলছে ইসরায়েল। তারা পাল্টা দাবি করেছে যে, তাদের সীমান্তে ঢোকার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের ‘হত্যাযজ্ঞের’ প্রতিক্রিয়ায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে হুতিরা। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে লক্ষ্য এ ধরনের হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এদিকে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা গতকাল ৪৫ হাজার অতিক্রম করেছে।
হুতিদের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইয়েমেন ভূখণ্ড থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশ সীমায় ঢোকার আগে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কারণ তা ঠেকাতে গিয়ে (ক্ষেপণাস্ত্রের) টুকরো টুকরো অংশ পড়ার শঙ্কা ছিল।’
ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতা ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শহর তেল আবিবজুড়ে জারি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
হুতিরা নিজেদের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘সফলতার সঙ্গে লক্ষ্য অর্জন’ করেছে বলে দাবি করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম