ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক পাকিস্তানবিরোধী অবস্থানকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে- যে কোনও আগ্রাসনের জবাব কঠোর ও উপযুক্তভাবে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ খান সম্প্রতি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি তার নির্বাচনী স্বার্থসিদ্ধির জন্য আবারও পাকিস্তানবিরোধী মনোভাবকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। পুলওয়ামা থেকে শুরু করে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যন্ত মোদি একাধিকবার নাটক মঞ্চস্থ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মোদি চাইলেই উসকানিমূলক কাজ করতে পারেন, কিন্তু পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার অবস্থানে তিনি নেই। আমরা এক জোট হয়ে যে কোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত।
এদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেছেন, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে- এমন একটি বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য সরকারের হাতে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এমন বার্তা পেয়েছি যে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করছি- সরকার সজাগ রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের নির্বাচনের সময়ে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি প্রায়শই পাকিস্তানকে ‘রাজনৈতিক টার্গেট’ বানিয়ে জনমত গড়ার চেষ্টা করে। এ ধরনের বক্তব্য এবং সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ শুধুই দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।
সূত্র: শামা নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ