হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ১০০ দিন অতিক্রম করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজার সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে।
অর্থাৎ গত ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের পর এই প্রথম এতোটা কঠিন সময় পার করছে মার্কিন শেয়ারবাজার। তা যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন শেয়ারবাজার পতনে এতোটা কঠিন অবস্থায় উপনিত হয়নি।
সর্বশেষ ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেরাল্ড ফোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিন মার্কিন স্টক মার্কেটে সবচেয়ে খারাপ পতনের রেকর্ড গড়েছিল।
গেল নভেম্বরে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয়ের পর ব্যবসা-বান্ধব উত্থানের প্রত্যাশায় শেয়ারবাজার প্রাথমিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। তবে বৈশ্বিকব্যাপী শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পার হওয়ার এখনো ওয়াল স্ট্রিট ঐতিহাসিক অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতায় কাঁপছে।
গত সোমবার এক নোটে ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের ডেপুটি চিফ মার্কেটস ইকোনমিস্ট জোনাস গোল্টারম্যান বলেছেন, ‘মার্কিন বাণিজ্য নীতির চারপাশে চলমান অনিশ্চয়তা এবং আরও বিস্তৃতভাবে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা সন্দেহ করি যে এখান থেকে এগিয়ে যাওয়া আরও কঠিন হবে।’
এদিকে, গত সপ্তাহ থেকে ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী বিরাজ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও ফেডারেল রিজার্ভ নিয়ে মনোভাবের পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বেড়ে যাওয়ায় এই ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ এবং ডাউ ছয় দিনের ঊর্ধ্বগতি ধারা অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ডাও ৩০০ পয়েন্ট বা ০.৭৫ শতাং বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয়েছে। বিস্তৃত এসঅ্যান্ডপি ৫০০ বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৫৮ শতাংশ এবং প্রযুক্তিনির্ভর নাসডাক কম্পোজিট সূচক ০.৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে গেল ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর থেকে এখনো এসঅ্যান্ডপি ৫০০ কমেছে ৭.২৭ শতাংশ।
এসঅ্যান্ডপি ডাও জোন্স ইনডেক্সের সিনিয়র সূচক বিশ্লেষক হাওয়ার্ড সিলভারব্ল্যাটের মতে, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর থেকে বেঞ্চমার্ক সূচকের বাজারমূল্য ৩.৬৬ ট্রিলিয়ন ডলার কমেছে।
এর আগে এপ্রিল মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্ক নীতির ঘোষণা করেন। এরপরই বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে বড়সড় ধস দেখা দেয়। তবে ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও ফেডারেল রিজার্ভ নিয়ে মনোভাবের পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বেড়ে যাওয়ায় আবারও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি মনোভাব দেখা যায়।
সূত্র : সিএনএন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত