নতুন যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় হওয়া দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, বুধবার পাঁচ হাজার টনের একটি যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় ভারসাম্য হারিয়ে সেটি আংশিকভাবে পানিতে উল্টে যায় এবং নিচের কিছু অংশ ভেঙে যায়। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাটি ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়েছে।
একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গেছে, জাহাজের তলদেশে কোনো ছিদ্র নেই, তবে ডানদিকের গায়ে আঁচড় লেগেছে এবং উদ্ধার চ্যানেলের মাধ্যমে পেছনের অংশে সমুদ্রের পানি ঢুকে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ "গুরুতর নয়" বলে জানানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
দুর্ঘটনার সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন উপস্থিত ছিলেন এবং এই ঘটনাকে "অসহনীয় অপরাধমূলক কাজ" বলে আখ্যা দেন বলে কেসিএনএ জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার জানায়, দুর্ঘটনার পর যুদ্ধজাহাজটি পানিতে এক পাশে হেলে ছিল। মার্কিনভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) স্যাটেলাইট ছবির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জাহাজটির পেছনের দিক বন্দরের দিকে সরে গিয়েছিল কারণ সেটির নিচে থাকা চাকা-সংযুক্ত ইউনিটগুলো পানিতে পড়ে যায়, আর সামনের অংশটি স্লিপওয়েতে রয়ে যায়।
চংজিনের ওই শিপইয়ার্ড মূলত পণ্যবাহী ও মাছ ধরার নৌকা তৈরি করে এবং বড় ধরনের যুদ্ধজাহাজ তৈরিতে দক্ষতার ঘাটতি আছে বলে মন্তব্য করেছে সিএসআইএস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাহাজের ভারসাম্য ফেরাতে ২-৩ দিন সময় লাগবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পাশে মেরামত কাজ সম্পূর্ণ হতে প্রায় ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
চংজিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপক হং কিল হো-কে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তলব করা হয়েছে এবং দায়ীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেসিএনএ জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে যাতে "অসতর্কতা" ও "দায়িত্বজ্ঞানহীনতা"-র বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/নাজিম