ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের যেকোনো সম্ভাব্য সামরিক হামলার জন্য ইরান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সম্প্রতি আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ১২ দিনের যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি হলেও তা স্থায়ী হবে—এমন আশাবাদ ইরানের নেই।
তিনি বলেন, ইসরায়েল আমাদের ক্ষতি করেছে, আমরাও তাদের গভীরে পাল্টা আঘাত করেছি। তারা আমাদের উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যার চেষ্টা করেছে, তবে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
পেজেশকিয়ান নিশ্চিত করেছেন, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। তিনি জানান, এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে এবং তা আন্তর্জাতিক আইনের সীমানার মধ্যেই থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা পারমাণবিক অস্ত্র চাই না। এটা আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও মানবিক নীতির বিরুদ্ধে। তবে কোনো ধরনের হুমকি বা চাপ ইরান মেনে নেবে না বলেও তিনি জানান।
ইসরায়েলের আক্রমণের সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আল উদেইদে পাল্টা আঘাত হানে। পেজেশকিয়ান জানান, এটি কাতারকে লক্ষ্য করে ছিল না। তিনি কাতারের আমিরকে ফোন করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
আল জাজিরাকে তিনি বলেন, কাতারের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। আমরা কেবল সেই ঘাঁটিতে আঘাত করেছি যেখান থেকে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।
তিনি নিশ্চিত করেছেন, পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান এখনো আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে। অতিসত্বর তারা আইএইএ-কে হামলার পর ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানাবে।
এদিকে, ইরান, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে নতুন দফায় আলোচনা তুরস্কে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলোচনায় তারা কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী, তবে শর্ত হিসেবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায়।
আল জাজিরার সঙ্গে বিশেষ এই সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের পরমাণু সক্ষমতা স্থাপনায় নয়, বরং আমাদের বিজ্ঞানীদের মস্তিষ্কে।’
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল