গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে আরবসহ মুসলিম বিশ্বের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাশাত।
ইয়েমেনের সরকারি বার্তা সংস্থা সাবাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যারা এখন চুপ থাকবেন, পরে তারাও নিরাপদে থাকবেন না। সময় থাকতে রুখে দাঁড়াতে হবে, নয়তো ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।
মাশাত বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যে গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষ চলছে, তা এক ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ। দুঃখজনকভাবে, পুরো মুসলিম ও আরব বিশ্ব আজ নীরব। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মিথ্যাচার, প্রপাগান্ডা ও মিডিয়া কৌশলে বিশ্ব আজ অন্ধ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, যারা এই নিষ্ঠুরতার শিকার নিরীহ মানুষদের আহাজারিতে জাগ্রত হন না। তারা বিশ্বাস ও মানবিক মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন। এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার—নাহলে এই নীরবতার দায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের গলাতেই পড়বে।
ইয়েমেনের পক্ষ থেকে মাশাত ঘোষণা দেন, আমরা প্রস্তুত আছি। ইসরায়েল ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের প্রথম কাতারে থাকতে।
তিনি আরব ও মুসলিম শাসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি কিছু করতে না পারেন, তবে জাতিগুলোকে উঠতে দিন। কিন্তু জাতিগুলোও যদি চুপ থাকে, তাহলে এই নীরবতার ভয়াবহ পরিণতি গোটা উম্মাহকে গ্রাস করবে।
এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্বের ১০৯টি মানবিক সংস্থা। তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় গণঅনাহার ছড়িয়ে পড়ছে। তারা অবিলম্বে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৯,২১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১,৪৩,০৪৫ জনের বেশি।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল